রবিবার রাতে অভিজিৎ বর্মণের ফেসবুক পোস্ট ঘিরে শোরগোল। অভিজিৎ বর্মণকে পটা নামেই চেনে বাঙালি সঙ্গীতপ্রেমীরা। বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ক্যাকটাস’-এর ভোকালিস্ট তিনি। রবিবার রাতে ফেসবুকের দেওয়ালে গায়ক লেখেন- ‘ওরকম ব্যান্ড যেখানে অন্ত্যেষ্টি থাকে, সেখানে আমি প্রশ্রয় দিই না… জয়গুরু।’ এরপরই শুরু হয়ে যায় আলোচনা, তবে কি সম্পর্ক জোড়া লাগার এক বছরের মধ্যেই ফের ক্যাকটাসের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক ভেঙে ফেলবেন পটা? নেটিজেনদের ধারণা যখন কার্যত স্পষ্ট তখনই ফেসবুক পোস্টটি মুছে ফেলেন পটা।
কেসটা কী? এই ব্য়াপারে এক সংবাদমাধ্যমকে পটা বলেন, ‘কিছু বিষয় নিয়ে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এই মুহূর্তে সবটা সর্টেড।’ পটা আরও যোগ করেন, ‘যখন ব্যান্ডের প্রমোশনাল কিছু হচ্ছিল, তখন আমি তার ছবি কী আছে, কোথায় পোস্ট হচ্ছে, তা নিয়ে আমি জিগ্গেস করলে কেউ আমল দিচ্ছিল না, তা নিয়েই খারাপ লাগা তৈরি হয়েছিল, অভিমান হয়েছিল।’ এই অভিমানের জেরেই ওই ফেসবুক স্টেটাস তা জানান গায়ক। সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, 'আমার সঙ্গে কিছু কমিউনিকেশন গ্যাপ তৈরি হয়েছিল। তবে আমি ব্যান্ড ছাড়ব বলে কিছু ঠিক করিনি।'
ক্যাকটাস ইতিমধ্যেই ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। যদিও মাঝে লম্বা সময় এই ব্যান্ডের সঙ্গে ছিলেন না পটা। ২০০৪ সালে আলাদা সফর শুরু করেছিলেন পটা, বেরিয়ে গিয়েছিলেন ব্যান্ড থেকে, তখন সিধুই এই ব্যান্ডটি এগিয়ে নিয়ে যান। ‘ক্যাকটাস’ ভাঙায় মন ভেঙেছিল ভক্তদেরও। তবে গত বছরই ‘ক্যাকটাস’-এ ফিরে আসেন পটা। ১৭ বছর পর এক স্টেজে গান গান দুজনে। প্রকাশ্যে আসে সিধু-পটার নতুন গান ‘ছিঃ ছিঃ ছিঃ’। আবার শুরু হয় ক্যাকটাসের সফর। ‘শুধু তুমি এলে না’, ‘হলুদ পাখি’, ‘নিল নির্জন’-এর মতো গানের স্রষ্টা এই ব্যান্ড। আবার সেটি ভাঙতে চলেছে ভেবেই মন খারাপ হয়েছিল অনুরাগীদের। তবে ভাঙনের খবর যে একেবারেই সত্যি নয় তা স্পষ্ট করে দিলেন পটা। আগামিদিনে ‘ক্যাকটাস’-এ থাকছেন তিনি।