বলিউডের তারকা সন্তানদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা তৈমুর আলি খানের। সইফিনার পুত্রকে হামেশাই ঘিরে থাকে হাজারো ক্যামেরার ফ্ল্যাশ। মাত্র চার বছরের তৈমুর মাঝেমধ্যে অবশ্য বিরক্ত হয়ে যায় পাপারাতজি দাদাদের এই রকমসকমে। আজকাল তো ‘নো ফটো’, ‘নট অ্যালাউড’-এর মতো শব্দ ব্যবহার করছে সে। তবে বিরুষ্কার সন্তানের আগমনে কী জনপ্রিয়তা সংকটে তৈমুরের? টুইটার অবশ্য তেমনই দাবি করছে। সোমবার বিকালে মেয়ের বাবা হওয়ার খবর দারুণ গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করেন বিরাট। এরপর থেকেই শোরগোল মাইক্রো ব্লগিং সাইটে। বিরাট কোহলি, অনুষ্কা শর্মা বয়েছেন টপ ট্রেন্ডে। তবে বিরুষ্কার পাশাপাশি এদিন ট্রেন্ডিংয়ে টিমও (তৈমুরের ডাকনাম)।
নেটিজেনদের একটা বড়ো অংশের দাবি তৈমুরের যোগ্য প্রতিদ্বন্দ্বী এসে গেছে। জুনিয়ার অনুষ্কা এবার হয়ে উঠবে গোটা দেশের পছন্দের তারকা সন্তান। টুইটার জুড়ে মিমের বন্যা তৈমুরকে ঘিরে। অনেকেই বলছেন পতৌদির শাহজাদার জনপ্রিয়তা সংকটে।
তৈমুরের ঠাকুমা শর্মিলা ঠাকুর নিজের মুখে বলেছেন বিরুষ্কার সন্তান এলে হয়ত তৈমুর কিছুটা রেহাই পাবে। যদিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সন্তানকে একেবারে দূরে রাখবেন বিরুষ্কা, ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই তারকা জুটি।
সন্তানকে নিয়ে মিডিয়ার মাতামাতি সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল অনুষ্কা। সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দূরেই রাখবেন মিস্টার অ্যান্ড মিসেস কোহলি, সেই সিদ্ধান্ত তাঁরা নিয়ে ফেলেছেন। ‘আমরা অনেক ভাবনাচিন্তা করেছি। জনগণের চোখের সামনে অবশ্যই আমরা আমাদের সন্তানকে বড় করতে চাই না। সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনওভাবেই সন্তানকে যুক্ত করতে চাই না। এই সিদ্ধান্তটা সন্তানের উপর ছেড়ে দেওয়া উচিত। অন্যদের চেয়ে তোমার সন্তানকে বেশি স্পেশ্যাল হিসাবে গড়ে তোলাটা অনুচিত। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই সোশ্যাল মিডিয়া সঙ্গে মানিয়ে উঠা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে খুদেদের জন্য সেটা কতখানি শক্ত হতে পারে? এটা শক্ত হবে (সন্তানকে সোশ্যাল মিডিয়ার আড়ালে রাখা), কিন্তু আমরা সেটা মেনে চলতে চাই’, ভোগ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে ডিসেম্বর মাসেই জানিয়েছিলেন অনুষ্কা।