২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় নাম জড়িয়েছে জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের। সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে এই মামলায় জড়িত থাকার কারণ এরইমধ্যে ইডি-র তরফে ফোজদারি মামলা জারি করা হয়েছে অভিনেত্রীর নামে। সম্প্রতি এই ফৌজদারি মামলা বাতিল করার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন কিক-নায়িকা।
ইডি-র এই ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় সহ-অভিযুক্ত হিসেবে নাম রয়েছে জ্যাকলিনের। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে করা একটি চাঁদাবাজির মামলায় প্রধান সাক্ষী তিনি।
গত বছরের অগস্ট মাসে চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশের অর্থনৈতিক অপরাধ শাখার তরফে দায়ের হয়েছিল এফআইআর। রেলিগার এন্টারপ্রাইজের প্রাক্তন প্রোমোটারের স্ত্রী অদিতি সিং-এর কাছ থেকে প্রতারণার অভিযোগ আসতেই নড়েচড়ে বসেছিল আধিকারিকরা।
চন্দ্রশেখরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় তাঁর নামে দায়ের হওয়া অভিযোগ বাতিল করার আবেদন করে জ্যাকলিনের দাবি, ইডি যে সমস্ত নথি দাখিল করেছে তা প্রমাণ করে যে তিনি চন্দ্রশেখরের একজন নির্দোষ শিকার।
যদিও ইডি-র তরফে বারবার দাবি করা হয়েছে যে, সুকেশের বেআইনি ব্যাবসার ব্যাপারে আঁচ ছিল জ্যাকলিনের। এমনকী, অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠরা অনেকেই তাঁকে সতর্ক করেছিল, কিন্তু তিনি সেভাবে কান দেননি। ব্র্যান্ডেড ব্যাগ, দামি পোশাক, গাড়ি, গয়না থেকে শুরু করে আর্থিক সুবিধে নিয়েছিলেন তিনি সুকেশের থেকে। এমনকী, সুকেশের পাঠানো প্রাইভেট জেটে চড়ে দেখাও করতে যেতেন। এমনকী তাঁদের একাধিক ঘনিষ্ঠ ছবিও একাধিক সময়ে সামনে এসেছে। যা বড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে জ্যাকলিনের কেরিয়ারকে।