সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘খিটখিটে বুড়ি’, ‘বদমেজাজি’ হিসাবেই পরিচিত জয়া বচ্চন। পাপারাৎজিদের সঙ্গে ‘দুর্ব্যবহারের’ জন্য হামেশাই সংবাদ শিরোনামে থাকেন অমিতাভ ঘরণী। অথচ এবার বলিউড তারকাদের বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ ‘রাগী আন্টি’ জয়ার। আরও পড়ুন-রেখার সঙ্গে কাটানো স্মৃতি মনে পড়ল অমিতাভের, ‘জয়া আন্টি রাগ করবে’, সতর্কবাণী নেটপাড়ার
সম্প্রতি নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দার পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন জয়া, সঙ্গী মেয়ে শ্বেতা নন্দা। সেখানেই কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের ঠিক কী কী সমস্যায় পড়তে হয় তা নিয়ে আলোচনা করছিল বচ্চন পরিবারের তিন প্রজন্ম। নভ্যা মা এবং দিদিমার কাছে জানতে চান, সহকর্মীরা বন্ধু হলে যে কাজকে আরও সহজ করে দেয় কিনা, শ্বেতার জবাব ছিল সপাট। বচ্চন কন্যা জানান, সহকর্মীদের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব পাতানো না পসন্দ তাঁর। কিন্তু মায়ের ভাবনা একদম অন্যরকম। জয়ার কথায়, তাঁর কাজের গুণগত মান আরও বাড়ে যদি সহকর্মী বন্ধু হয়।
নভ্য়া জয়ার কথার রেশ টেনে বলেন, তাঁর দিদিমা নাকি শ্যুটিং সেটের সকল সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান। এতেই জয়া অকপটে বলেন, ‘আমি দেখি সহকারী পরিচালকরা যারা নতুন আসে, তাঁদের কীভাবে তারকারা হেনস্থা করে, আমার সেটা একদম পছন্দ নয়।’ ওমনি ফুট কেটে শ্বেতা বলে ওঠেন, ‘নিজের সন্তানদেরও বুলি করা উচিত নয়’। মেয়ের ইশারা বুঝতে পারেন জয়া। প্রকাশ্যেই ছেলেমেয়েকে বকাঝকা করেন জয়া বচ্চন, সেইদিকেই ইঙ্গিত করে শ্বেতার এই মন্তব্য। তাতে বচ্চন ঘরণী বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি সেটা করতেই পারি’। এরপর হেসে ওঠেন তিনজনে।
আগে অনেক পেশাই শুধু পুরুষদের পেশা হিসাবেই প্রচলিত ছিল, এখন সময় বদলাচ্ছে। পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েরাও সবক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষতার ছাপ রাখছে। বলিউডেও বদল এসছে অনেকখানি। জয়া বচ্চন স্মৃতি হাতড়ে বলেন, যখন তিনি অভিনয়ের জগতে এসেছিলেন তখন ফিল্মের সেটে অভিনেত্রী ব্যতিত কেবল হেয়ার ড্রেসার হিসাবেই মেয়েদের দেখা মিলত। কিন্তু এখন অনেক ফারাক। অন্যদিকে তিনি যখন ‘দেখ ভাই দেখ’ বলে একটি জনপ্রিয় টিভি শো প্রযোজনা শুরু করলেন তখনও প্রযোজনায় মেয়েদের দেখা মিলত না। কিন্তু আজ সময় পালটেছে।
নভ্যার পডকাস্টের এই এপিসোডেই, মেয়ে শ্বেতাকে নিয়ে বড় মন্তব্য করেন জয়া। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘ছেলের থেকেও বেশি আমার মেয়ে আমার শক্তি। ও নারী বলেই এমনটা কিনা জানি না। কিন্তু ওই আমার বল।’ গত কয়েক মাস ধরেই বচ্চন পরিবারে অশান্তির গুঞ্জন চরমে, তার মাঝে জয়ার এই মন্তব্য বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালল।