অভিনয়ের পাশাপাশি সংসারও সমান তালে সামলেছেন অভিনেত্রী জয়া বচ্চন। তাঁর নাতনি নভ্যা নাভেলি নন্দার পডকাস্ট 'হোয়াট দ্য হেল নভ্যা সিজন ২'-এ জয়া স্বীকার করেছেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী অমিতাভ বচ্চন দু'জনেরই তাঁদের সন্তান অভিষেক-শ্বেতার নিরাপত্তা ছিল তাঁদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সন্তানদের সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে সুরক্ষামূলক দিকে নজর রাখতেন তাঁরা। যেভাবে তিনি এবং অমিতাভ বচ্চন বড় হয়েছেন, ঠিক সেভাবেই সেই শিক্ষা দিয়ে সন্তানদের মানুষ করেছেন সেকথাই জানিয়েছেন প্রবীণ অভিনেত্রী।
জয়া তার বক্তব্যকে আরও ব্যাখ্যা করে বলেন– ‘আমরা আরও সুরক্ষামূলক ছিলাম কারণ আমরা এর থেকেও ভালো কিছু জানতাম না। আমাদের এগুলোই শেখানো হয়েছিল। এভাবেই আমাদের বেড়ে ওঠা। আরও, নিজের মেয়ের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন যে, তুমি (শ্বেতা) বড় হয়েছ, তুমি তোমার সন্তানদের অন্যভাবে লালনপালন করবে’। আরও পড়ুন: গান ছাড়া আরও একটা জিনিসের প্রতি প্য়াশন ছিল! দাদাগিরির মঞ্চে এসে ফাঁস করলেন অনীক
মায়ের সঙ্গে একমত হয়ে শ্বেতা বলেন– 'অনেক সময় মানুষ অন্যের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয় না। তাঁদের নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হয়। আপনার সন্তানদের সেই ভুলগুলো করার সুযোগ দিতে হবে। সত্যিই! আপনার বাচ্চাদের বাইরে রাখা বা তাদের ছেড়ে দেওয়া মানে আপনার হৃদয় বের করে টেবিলে রাখার মতো মনে হবে। কারণ এটাই অনেকের স্বভাব। আমি চাই না কেউ কষ্ট করুক। সেটা হয়তো ঠিকও নয়। ওরা যেদিকে যাচ্ছে এটা হয়তো সেই সঠিক দিকও নয়। কিন্তু এটা বলা খুব কঠিন, ‘ঠিক আছে, আমি তোমায় এটা করতে দেব। আমি মনে করি আপনার সন্তানকে তাদের নিজের ভুল করতে দেওয়া আপনার পক্ষে সবচেয়ে ভালো কাজ, কারণ তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে’।
এই শোয়ে নভ্যার থেকেই জানা যায়, পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেরই রান্নার দিকে ঝোঁক আছে। অমিতাভ-কন্যা শ্বেতা নাকি সবথেকে ভাল রান্না করেন। যত বেশি জটিল রেসিপি, তত বেশি আনন্দ শ্বেতার। যদি পাস্তা বানাতে বেশি ভালোবাসেন তিনি। নভ্যাও খোসা-সমেত আলু ভাজা বানাতে পারেন। সঙ্গে পাস্তা বানাতে শিখছেন তারকা-নাতনি। অন্যদিকে পরিবারের নতুন হিরো অগস্ত্য নন্দার আবার বেকিংয়ের দিকে খুব উৎসাহ। নানা ধরনের রুটি-পাঁউরুটি বা কুকিজ বানাতে পারেন অভিনেতা।
আরও জানা গিয়েছে, নভ্যার পছন্দ, মাছের পাতুরি, দিদার হাতে ভাতে-ভাত অথবা দিদার হাতেই চাল-ডাল সিদ্ধ করা সাদামাটা খিচুড়ি। জয়ার বানিয়ে দেওয়া ভাতে-ভাত অর্থাৎ সিদ্ধ ভাত এবং আলু সিদ্ধ মাখা, বা আলুর চোখা খেলেই নভ্যার মন ভালো হয়ে যায়।