২১ এপ্রিল, ইদের ঠিক আগের দিন ছুটির মেজাজ নিয়ে মুক্তি পেয়েছিল জিতের নতুন সিনেমা চেঙ্গিজ। এটাই প্রথম বাংলা ছবি যা একই সঙ্গে হিন্দি এবং বাংলা দুই ভাষাতেই মুক্তি পেয়েছে গোটা দেশ জুড়ে। বাংলার বস জিৎ আবারও স্রেফ বিনোদন দিতে এই ধামেকেদার ছবি নিয়ে হাজির হয়েছেন। এবার তাঁর সঙ্গী সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবিটি বক্স অফিসে মোটের উপর ভালোই সাড়া পাচ্ছে। আর হবে নাই বা কেন জিৎ নিজে যে এই ছবির প্রচারে জন্য দিল্লি থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে রাজস্থান ছুটে বেড়িয়েছেন।
এই ছবিতে উঠে এসেছে সত্তরের দশকে কলকাতায় চলা মাফিয়া রাজের গল্প। একজন পুলিশ অফিসারের ছেলে হয়েও কী করে আর কেন জিৎ একজন মাফিয়া হয়ে ওঠেন সেটাই এই ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবি কেবল বাংলায় নয়, বাংলার বাইরেও ৭৭৪ টি হলে মুক্তি পেয়েছে। সলমনের ছবির সঙ্গে টক্কর দিতে হলেও ব্যবসা খুব একটা মন্দ করছে না এই ছবি। আর তারই মাঝে ফিভার এফএমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জিৎ এবং সুস্মিতা দুজনেরই অজানা কথা প্রকাশ্যে এল।
এই সাক্ষাৎকারে সুস্মিতাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয় জিতের পাশে কাকে বেশি মানায়? উত্তরে অভিনেত্রী সাফ সাফ বলেন, 'ওঁর বউকে।' এটা শুনে আরজে হতবাক হয়ে গেলেও জিৎ জানান তাঁর স্ত্রী নাকি ভীষণ খুশি হবেন।
জিৎ জানান যখন তাঁকে কেউ কিছুতে ভাবার সময় দেন না তখন নাকি তাতে তিনি ভীষণই রেগে যান। অন্যদিকে সুস্মিতা জানান যখন তাঁকে কেউ বোকা বলেন তখন তাঁর খুব রাগ হয়। আর খুশি? মানুষের হাসিই জিতের মন ভালো করে দেয় বলে জানান অভিনেতা। অন্যদিকে অভিনেত্রীর মতে তিনি যখন কোনও নতুন কাজ শিখতে পারেন তখন তিনি খুশি হন।
কোন বাংলা ছবি তাঁরা সাম্প্রতিককালে দেখেছেন এবং ভালো লেগেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে দুজনেই সমস্বরে বলে ওঠেন অপরাজিত। যদিও সুস্মিতা এর সঙ্গে যোগ করে বেলাশুরুর কথাও।
তবে যতই আড্ডা দিন না কেন খোলা মনে চেঙ্গিজ কিন্তু ছবির মতোই ব্যক্তিগত জীবনে তাঁর ভয়ের কথা প্রকাশ্যে বলতে নারাজ। তবে সুস্মিতার কথায়, 'আমি ভীষণ ইমোশনাল।'
জিৎ এই সাক্ষাৎকারে জানান তাঁর জীবনের অন্যতম সাহসী পদক্ষেপ হল এই ছবিকে বাংলার বাইরে হিন্দি ভাষাতেও নিয়ে আসা। তিনি আরও জানান, 'সব ঠিক থাকলে বিদেশেও মুক্তি পাবে এই ছবি।' আর সুস্মিতার জীবনে? অভিনেত্রীর কথায়, 'ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর যখন চাকরি না করে অভিনেত্রী হতে এসেছিলাম সেটা একটা সাহসী পদক্ষেপ ছিল আমার।'
শেষে তাঁদের দুজনের একটাই বক্তব্য ছিল স্রেফ বিনোদন পেতে চেঙ্গিজ দেখা মাস্ট!