যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর হাত ধরে ফের একটি নতুন ধারাবাহিক শুরু হতে চলেছে। স্টার জলসায় আসছে লাভ বিয়ে আজকাল। মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে ওম সাহানি এবং মৌমিতা সরকারকে। এই ধারাবাহিক শুরু হওয়ার আগে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মুখোমুখি হয়েছিলেন যিশু। নতুন ধারাবাহিক নিয়ে কী কী বললেন তিনি?
হরগৌরী পাইস হোটেলের শুভস্মিতা হোক বা লাভ বিয়ে আজকালের মৌমিতা, এত নতুন ট্যালেন্ট কীভাবে খুঁজে পান?
যিশু: অডিশনের মাধ্যমেই। আমাদের বন্ধুবান্ধবদের থেকেও খোঁজ খবর করি। অনেকেই ফটোগ্রাফার তাঁদের থেকে নতুন ছেলে মেয়েদের খোঁজ পাই। ওই ফোনাফুনি করে অডিশনে তাঁদের ডাকা হয় তারপর সেখান থেকে বেছে নেওয়া হয়। তবে...
কী?
যিশু: এসব নীলাঞ্জনাই দেখে। প্রোডাকশন হাউজটাই কেবল আমার নামে, যে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক, হ্যাঁ, না, ঠিক, ভুল, গুড, ব্যাড সবটাই ওই বলে। আমি ওর আন্ডারে কাজ করি। আমি যেহেতু অধিকাংশ সময়টাই বাইরে থাকি সেহেতু সেই অর্থে সময় দিতে পারি না। যতটা দেখি সেটাও আবার ভুল দেখি। ফলে বকা খেতেই হয়। (হাসি)
হাহা, তা বেশ। সিরিয়াল আসা যাওয়ার ভিড়ে লাভ বিয়ে আজকাল কতটা আলাদা হতে চলেছে?
যিশু: কতটা আলাদা সেটা তো বলতে পারব না, সেটা দর্শকরা দেখে বলবেন। তবে এটা বলতে পারি এই ধারাবাহিকের যে টপিক অর্থাৎ কনট্র্যাক্ট ম্যারেজ সেটা এখন বা এর আগে কোনও বাংলা ধারাবাহিকে দেখানো হয়নি। স্টার জলসাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটা বোল্ড গল্প সবার সামনে নিয়ে আসার জন্য।
আরও পড়ুন: 'হরগৌরীর মতো এটাও জনপ্রিয় হবে', লাভ বিয়ে আজকাল শুরুর আগেই আত্মবিশ্বাসী গোটা টিম!
ওম আর মৌমিতা ছাড়া কাকে দেখা যাবে এই ধারাবাহিকে?
যিশু: সেটা শো শুরু হলেই দেখা যাবে। ওটা সাসপেন্স থাক। তবে এটা বলতে পারি প্রচুর নতুন মুখ দেখতে পাবেন। এঁরা মূলত থিয়েটার অভিনেতা।
দীর্ঘদিন ছোট পর্দায় দেখা যাচ্ছে না আপনাকে, আবার কবে ফিরছেন?
যিশু: কাজ দিলে করব। কোনও চ্যানেল তো ডাকছেই না। ডাক পেলে নিশ্চয়ই করব।
এখুনি বললেন নীলাঞ্জনাদির থেকে বকা খান, সম্পর্কটা তবে কি টক ঝাল মিষ্টি?
যিশু: আসলে ও আমার সব থেকে বড় ক্রিটিক। ঠিক ভুল সবটাই ও বলে দেয়। প্রোডাকশন হাউজের সব ডিসিশন ওই নেয়।
আরও পড়ুন: ওম সাহানির বিপরীতে ছোট পর্দায় ডেবিউ করছেন মৌমিতা, চেনেন তাঁকে?
কাজের জন্য হামেশাই বাইরে যেতে হয় যে মেয়েদের সময় দিতে পারেন না বলে আক্ষেপ হয় না?
যিশু: ও বাবা, হবে না আবার? আলবাত হয়। আসলে সমস্ত অভিনেতাদের একটা শেলফ লাইফ থাকে সেটা আমার মেয়েরা বোঝে। আমি তো সারাজীবন এই কাজটা করে যেতে পারব না, চাইও না। যতদিন পারব করব। তারপর একসঙ্গে বেড়াতে যাব সবাই। মজা করব। এখনও বেড়াতে যাই, তবে আমি না পারলেও নীলাঞ্জনা ওদের নিয়ে যায়, আমি পরে জয়েন করি। আমার মেয়েরা সেই ব্যস্ততাটা বোঝে।