সালটা ছিল ১৯৯৪। ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেয়েছিল কিং খান শাহরুখের ‘কভি হাঁ কভি না’। ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে ছিলেন সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি। ‘কভি হাঁ কভি না’ ছিল শাহরুখের আইকনিক ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম।২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, রবিবার ‘কভি হাঁ কভি না’ ৩০ বছর পূর্ণ করেছে। আর তাই স্মৃতি মেদুর হয়ে পড়েছেন সুচিত্রা।
সম্প্রতি ‘কভি হাঁ কভি না’র ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে জুম-এর এক সাক্ষাৎকারের মুখোমুখি হয়েছিলেন সুচিত্রা। তিনি জানিয়েছেন, এই ছবির শেষদৃশ্যটি একাধিক রকমভাবে ভাবা হয়েছিল। সুচিত্রার কথায়, ওই ছবিতে ক্যামিও দৃশ্যে ছিলেন জুহি চাওলা। শাহরুখ যেহেতু তখন জুহির সঙ্গে একাধিক ছবিতে কাজ করছিলেন, তাই সেই দৃশ্যগুলি নিয়ে বহুবার ভাবা হয়েছে, আলোচনা হয়েছে। যদিও সেসময় আমি ছবির ক্রিয়েটিভ বিষয়ে বিশেষ জড়িত ছিলাম না। আমি শুধুই আমার চরিত্র, আর দৃশ্য নিয়েই মাথা ঘামাতাম, আর কাজ শেষে সোজা বাড়ি। তবে সুচিত্রার কথায়, ছবির শেষটা সুমধুর ছিল না, আর সেটাই ছিল এই ছবির প্রতি আকর্ষণের অন্যতম কারণ।
আরও পড়ুন-'রোজা'র সাফল্য আমায় অহংকারী করে তুলেছিল, মণিরত্নমকেও কৃতিত্ব দিইনি', অকপট মধু
সাক্ষাৎকারে উঠে আসে কুন্দন শাহ পরিচালিত এই ছবির রিমেকের প্রসঙ্গ। এই ছবির সিক্যুয়েল হলে সুনীল (শাহরুখ খান) ও আন্না (সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি)র চরিত্রে কাদের নেওয়া উচিত? এপ্রশ্নের বহুবার মুখোমুখি হতে হয়েছে সুচিত্রাকে। এর আগে সুচিত্রা এই দুটি চরিত্রের জন্য বরুণ ধাওয়ান ও আলিয়া ভাটের কথা বলেছিলেন। তবে এখন সুচিত্রার বক্তব্য, বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই চরিত্রগুলির থেকে আলিয়া ও বরুণকে একটু বেশী বয়সী মনে হবে। সুচিত্রার কথায়, এখন আমার মনে হয় আন্নার চরিত্রের জন্য কাবেরী আর সুনীলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারেন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান।
সম্প্রতি ‘কভি হাঁ কভি না’র ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সুচিত্রা কৃষ্ণমূর্তি এক আবেগঘন পোস্ট করেছিলেন। এই বছরের ২৫শে ফেব্রুয়ারি কভি হাঁ কভি না ৩০ বছর পার হয়েছে। কী দারুণ অনুভূতি। আমি খুব খুশি ছবিতে আমার নায়ক এখনও নায়কের চরিত্রে রকিং। অথচ তার সমবয়সী অনেক মহিলা সহকর্মীর এখন মা ও ঠাকুমার ভূমিকায় অভিনয় করছেন। আর আমার জন্য ... আমি আর কীইবা বলতে পারি? এই ছবি মুক্তির আগেই অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলাম। তবে কোন অনুশোচনা নেই। আমি তখন অন্য সুখে ডুবে ছিলাম। আমি এই সত্যটি সম্পর্কে অজ্ঞাত ছিলেন যে আমার অভিনীত এই ছবিই পরবর্তী সময়ে গিয়ে একটা আইকনিক ছবি হয়ে উঠতে চলেছে। আজ কেউ আমাকে একটা লিঙ্ক পাঠিয়েছে যে আমার ছবিটি 2024-এ iIMDb-তে সর্বকালের সবচেয়ে আইকনিক রোমান্টিক চলচ্চিত্রের অংশ হয়ে উঠেছে।