কভি খুশি কভি গমের সাফল্য হাসি ফোটাতে পারেনি কাজলের মুখে। এই ছবির মুক্তির সময় গর্ভে সন্তানকে হারিয়েছিলেন কাজল। সেই শোক আজও তাড়া করে বেড়ায় অভিনেত্রীকে।
কভি খুশি কভি গমের সাফল্য হাসি ফোটাতে পারেনি কাজলের মুখে। অভিনেত্রীর কেরিয়ারের অন্যতম ব্যবসাসফল ছবি করণ জোহর পরিচালিত এই ছবি। তবে এই ছবি মুক্তির সময় গর্ভেই সন্তানকে হারিয়েছিলেন কাজল। সেই শোক আজও তাড়া করে বেড়ায় অভিনেত্রীকে। অতীতের সেই কথা ভেবে আজও শিউরে উঠেন নায়িকা। সম্প্রতি জনপ্রিয় ইন্সটাগ্রাম পেজ হিউম্যানস অফ বম্বেকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে এই কথা জানিয়েছেন কাজল।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি সন্তান ধারণের পরিকল্পনা করছিলাম। কভি খুশি কভি গমের সময় ২০০১ সালে আমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলাম, কিন্তু আমার মিসক্যারেজ হয়ে যায়। আমি সেদিন হাসপাতালে ছিলাম-ছবিটা খুব ভাল চলছিল কিন্তু আমি খুশি ছিলাম না। এরপর আরও একবার মিসক্যারেজ হয়েছিল,খুব কঠিন সময় ছিল। এরপর আমাদের জীবনে আসে নাইসা এবং যুগ এখন আমাদের পরিবার পরিপূর্ন’।
শুক্রবার মুক্তি পেতে চলেছে অজয়-কাজল জুটির তানাজি দ্য আনসাং হিরো-সেই ছবির প্রমোশনের ফাঁকেই উঠে এসেছে নায়িকার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু অজানা গল্প। স্বামী অজয় দেবগণের সঙ্গে প্রথম আলাপ থেকে তাঁদের প্রেম, বিবাহিত জীবন সবকিছু নিয়ে খোলামেলা কাজল।
প্রথমবার কোথায় আলাপ হয়েছিল স্বামী অজয় দেবগণের সঙ্গে,অভিনেত্রী জানান, ২৫ বছর আগে হলচলের সেটে-আমি শটের জন্য তৈরি ছিলাম এবং জিজ্ঞাসা করি আমির হিরো কোথায়? কেউ একজন ওর দিকে আঙুল দেখিয়ে বলেছিল-ও(অজয় দেবগণ) এককোণে চুপ করে বসেছিল। সেটেই আমরা প্রথম কথা বলা শুরু করি এবং আমরা বন্ধু হই।
সেই সময় আমি অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, অজয়ও অন্য একজনকে ডেট করছিল। আমি তো একবার আমার বয়ফ্রেন্ডের নামে অভিযোগ জানিয়েছিলাম অজয়ের কাছে। এরপর দুজনেরই সম্পর্ক ভেঙে যায়। আমরা কখনও একে অপরকে প্রপোজ করি নি। কিন্তু আমরা জানতাম আমরা একসঙ্গে থাকব-হাত ধরা থেকে শুরু এরপর অনেকগুলো ধাপ পেরিয়ে..’
এর আগে ইশক, প্যায়ার তো হোনা হি থা, ইউ মি অউর হামের মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অজয়-কাজল জুটি। এবার মরাঠা ইতিহাস নির্ভর ছবি তানাজি: দ্য আনসাং হিরোতে দেখা মিলবে এই জুটির।