বুধবার ছিল সরস্বতী পুজো। আর একই দিনে আবার ভ্যালেন্টাইন্স ডে। ফলত ডবল সেলিব্রেশন আট থেকে আশির। প্রেম দিবসের বেশ কিছু মুহূর্ত ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছেন টলিউডের অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টোরাজ। এদিনটায় সেজেছিলেন তিনি লাল রঙের শাড়িতেই। লাল শাড়ি, সঙ্গে ম্যাচিং ব্লাউজ। সোনার গয়না। চোখে গাঢ় করে লাল আইশ্যাডো, ঠোঁটও লাল। এত সুন্দর করে সাজার পরও প্রত্যাখাত হতে হল প্রেমে!
বর্তমানে টলিউডের নানা কোনে কান রাখলেই শোনা যাচ্ছে, শ্রীময়ী চট্টোরাজ নাকি প্রেম করছেন অভিনেতা, তৃণমূলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে। এমনকী দুজনের বিয়ে নিয়েও কম চর্চা হচ্ছে না। অনেকেরই মত পিঙ্কির সঙ্গে ডিভোর্সটা হয়ে গেলেই বিয়ে করে নেবেন কাঞ্চন আর শ্রীময়ী!
যদিও সম্পর্ক নিয়ে যত রটনাই থাক, তাতে কোনও শিলমোহর আসেনি দুই তারকার পক্ষ থেকে। কখনও নিজেদের বন্ধু তো কখনও ‘ভরসার সঙ্গী’ তো কখনও ‘শিক্ষাগুরু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে গত কয়েকবছরে তাঁদের ঘনিষ্ঠতা যে বেড়েছে সেকথা কারওরই চোখ এড়ায়নি। আজকাল প্রকাশ্যেই সামাজিক মাধ্যমে ধরা দেন দুজন। রাত পার্টিতে হোক বা রাস পূর্ণিমায়, দুর্গা পুজোয় হোক বা জগদ্ধাত্রী পুজোয়, সর্বদাই পাশাপাশি তাঁরা। কখনও আবার পোশাকেও রংমিলান্তি করেছেন।
একদিকে শ্রীময়ীকে নিয়ে ওঠা ‘তৃতীয় বিয়ে’র খবরে বেশ বিরক্ত কাঞ্চন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমাদের সন্তান যেন কোন হাসপাতালে ভূমিষ্ঠ হচ্ছে? পারলে সেটাও লিখে দেবেন।’
অন্য দিকে এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে ক্ষোভের সুরে শ্রীময়ী বলেছিলেন, ‘তোমরাই আমাদের চর্চায় নিয়ে আসছো, তোমরাই আবার খারাপ খারাপ কথা বলছো। আমরা আমাদের দিকে ঠিকই রয়েছি। তোমরা সম্পর্কের নাম দিয়ে দিচ্ছো। একটা মানুষ আমার থেকে বয়সে অনেকটা বড়। সে পুরুষ, আর আমি মহিলা। তার সঙ্গে ছবি দেওয়া বা তার সঙ্গে কাজ করা, খুব হাস্যকর লাগে….কিছুদিন আগে আমরা একটা সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলাম, কমলা ও শ্রীমান পৃথ্বীরাজ। তাতে লেখা হলে গেল, কাঞ্চন-শ্রীময়ী নতুন জীবনের সূচনা করলেন।’
তবে এবার ‘প্রত্যাখ্যান’-এর ব্যাপারটা অবশ্য পুরোটাই হয়েছে মজার ছলে। দেখা যায় হাতে একটি ফুলের স্তবক নিয়ে এই বাচ্চাটিকে দিচ্ছেন শ্রীময়ী। আর বলছেন, ‘হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে। আই লাভ ইউ’। আর তারপর বাচ্চাটি ফুলের তোড়ায় একটু হাত বুলিয়েই বলে দেয়, ‘নেব না’। ওমা খাট থেকে নেমে গটগট করে হেঁটে বেরিয়েও যায় ঘর থেকে। তাতে শ্রীময়ী বলে ওঠেন, ‘আমার একমাত্র ভ্যালেন্টাইনও আমায় প্রত্যাখ্যান করল’।