জানুয়ারি মাসে কাঞ্চন মল্লিকের সঙ্গে অফিসিয়াল ডিভোর্স পেয়েছেন অভিনেত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও দুজনের মধ্যে দূরত্ব এসেছিল বহু বছর আগেই। আলাদা হয়েছিল ছাদ। ডিভোর্স পেতেই একমাস তিন দিন পর তৃতীয়বার বিয়ে করেছেন কাঞ্চন, এবারের জীবনসঙ্গী শ্রীময়ী চট্টোরাজ। প্রাক্তন স্বামী যখন নতুন বিয়ে নিয়ে ব্যস্ত, তখন ছেলেকে নিয়ে গুছিয়ে নিয়েছেন পিঙ্কি নিজের জীবন।
সোমবার একটি সেলফি শেয়ার করলেন পিঙ্কি। লাল পোশাকে দেখা মিলল তাঁর। সঙ্গে ব্যাকগ্রাউন্ডে তাঁরই গলা, ‘জীবনটা আসলে ছোট গল্প। পরাবাস্তব গভীর অনুভূতি, সময় বড্ড অল্প’। পিঙ্কির এই পোস্টেও ভালোবাসায় ভরিয়ে দিয়েছেন অনুরাগীরা। একজন কমেন্টে লিখলেন, ‘তোমার মুখের স্নিগ্ধতা… বড় মুগ্ধ করে আজকাল।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘জীবন ছোট, তাই আনন্দে বাঁচো’।
আরও পড়ুন: মালাইকার দিকে ‘হাত বাড়ানো’য় অর্জুনের উপর রাগ সলমনের? সম্পর্ক খোলসা করলেন বনি
ডিভোর্সের পর এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ইতিবাচক মানসিকতা তুলে ধরেছিলেন পিঙ্কি। যেভাবে নিজের জীবন গুছিয়ে নেওয়ার কথা বলেছিলেন ছেলের সঙ্গে, তা অনুপ্রেরণা দিয়েছিল বহু ‘একা মা’, ‘ডিভোর্সি’ মহিলাকে। এমনকী, শ্রীময়ীকে বলতে শোনা গিয়েছিল, নিজের ১০ বছরের ছেলে ওশের মধ্যে শ্বশুরমশাইয়ের প্রতিচ্ছবি দেখতে পান তিনি। দীর্ঘ সময় অন্ধ ছিলেন কাঞ্চনের বাবা, তবুও অত শান্ত, স্নিগ্ধ মানুষ তিনি জীবনে খুব কম দেখেছেন। ভালোবেসে তিনি বউমাকে ডাকতেন বিনি। স্মিতভাষী সেই মানুষটা ছিল তাঁর চা খাওয়ার পার্টনার।
আরও পড়ুন: উচ্চতা নিয়ে পন্তকে খোঁটা! বিতর্ক বাড়তেই মুখ খুললেন উর্বশী, কার দিকে তুললেন আঙুল
অবশ্য, পিঙ্কির তাঁর প্রয়াত শ্বশুরমশাইকে নিয়ে বলা কথাগুলো মানতে পারেননি কাঞ্চন। বরং বাবাকে নিয়ে কথা বলায়, কিছুটা অসন্তোষই প্রকাশ করেছেন তিনি প্রাক্তন স্ত্রী পিঙ্কির প্রতি। ক্ষোভের সুরেই বলতে শোনা যায়, তাঁর বাবা যখন ছিলেন মৃত্যুশয্যায়, একবারও আসেননি পিঙ্কি দেখা করতে। পাঠাননি ছেলে ওশকেও। এমনকী, ঘাট কাজ বা শ্রাদ্ধেও উপস্থিত ছিলেন না ‘বউমা’।
আরও পড়ুন: ৩ কন্যের গোলমালে বক্স অফিস টালমাটাল, ৪ নম্বর দিনে কত আয় কারিনা-টাবু-কৃতির ক্রু-র
ডিভোর্সের পর ছেলের কাস্টেডি গিয়েছে পিঙ্কির হাতে। স্বেচ্ছায় সেই দায়িত্ব ছেড়েছেন কাঞ্চন। তাঁর সাফ বক্তব্য, কোনও বাচ্চাকে তার মায়ের থেকে আলাদা করতে মন চায়নি তাঁর। অবশ্য ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে দিয়েছেন মোটা ভরণপোষণ। ৫৬ লাখ টাকা দিয়েছেন তিনি ছেলে ও দ্বিতীয় স্ত্রীর জন্য।