গোয়ার গ্রামে আবর্জনা ছড়িয়ে নতুন বিতর্কে করণ জোহর ও তাঁর প্রযোজক সংস্থা ধর্মা প্রোডাকশন। সম্প্রতি করণ জোহরের প্রযোজক সংস্থার একটি ছবির শ্যুটিং হয়েছে গোয়ায়। কাজ শেষে গোয়ার নেরুল গ্রামে সমস্ত জঞ্জাল ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ধর্মা প্রোডাকশনের বিরুদ্ধে।যার জেরে পরিবেশবিদদের ব্যাপক রোষের মুখে করণ জোহর। এবার গোয়া বিষয় নিয়ে কড়া অবস্থান দিল গোয়া সরকার।
গোয়ার আবর্জনা নিয়ন্ত্রক মন্ত্রী মাইকেল লাবু অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিলেন করণ জোহরের সংস্থাকে। তেমনটা না হলে মুম্বইয়ের এই প্রযোজক সংস্থার উপর জরিমানা আরোপ করা হবে বলে জানানতিনি। তিনি জানান- সবার প্রথম সংস্থার ডিরেক্টর,কর্ণধাররা গোয়ার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। তাঁরা ফেসবুকে একটি ক্ষমা প্রার্থনা করে নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিক। যদি তা না হয়,তাহলে সরকারের তরফে ধর্মা প্রোডাকশনের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ করা হবে'।
জানা গিয়েছে সম্প্রতি দীপিকা পাড়ুকোন এবং সিদ্ধার্থ চতুর্বেদী অভিনীত ছবির শ্যুটিংয়ের পর ইউনিটের তরফে ব্যবহার করা পিপিই কিট, মাস্ক, প্লাস্টিকের থালা পর্যন্ত ফেলা হয়েছে। ঘটনার জেরে এন্টারটেনমেন্ট সোসাইটি অফ গোয়ার তরফেও শোকজ নোটিশ গিয়েছে ধর্মা প্রোডাকশনের কাছে।
গোয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিশ্বজিত্ রানেও সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে- ‘এটা একেবারেই অনুচিত কাজ, প্রকাশ্যে আবর্জনা এইভাবে ফেলে দেওয়া। যখন ফিল্মের শ্যুটিংয়ের অনুমতি দেওয়া হয়, তখন এই শর্ত থাকা বাধ্যতামূলক যে সংস্থা আবর্জনাগুলির সঠিক বন্দোবস্ত করবে’।
স্বভাবতই এই বিষয় নিয়ে কঙ্গনা রানাওয়াতও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি করণ জোহর ও ধর্মা প্রোডাকশনকে। কঙ্গনা তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই ‘ভয়ঙ্কর মনোভাব’ নিয়েই প্রশ্ন তোলেন। টুইটারে অভিনেত্রী লেখেন- ‘মুভি ইন্ডাস্ট্রি শুধু একটা ভাইরাস নয় যা আমাদের সংস্কৃতি ও নৈতিক আদর্শকে ধ্বংস করছে বরং এটা তো এখন ধ্বংসাত্মক হয়ে উঠেছে পরিবেশের জন্যও, প্রকাশ জাভেড়করজি এবং পরিবেশ মন্ত্রক দয়া করে দেখুক এই জঘন্য, নোংরা, দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজগুলো তথাকথিত বড় প্রযোজক সংস্থার। দয়া করে সাহায্য করুন’।