সানি দেওলের বাংলো নিলামের নোটিশ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই নানা কথা দেশজুড়ে। তবে ব্য়াঙ্ক সেই নোটিশ প্রত্যাহার করার পরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। কিন্তু কেন ব্য়াঙ্ক সেই নোটিশ তুলে নিয়েছিল?
ব্য়াঙ্ক তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রথমত যত টাকা বকেয়া ছিল সেখানে কোথাও বলা হয়নি ঠিক কত টাকা বকেয়া উদ্ধার করা গিয়েছে। দ্বিতীয়ত সেল নোটিশ হল একটি প্রতীকী ব্যাপার। এটা সিকিউরিটি ইন্টারেস্ট ( এনফোর্সমেন্ট) রুলস ২০০২ অনুসারে প্রয়োগ করা হয়।
ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ১লা অগস্ট ২০২৩ সালে মুখ বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে সম্পত্তির দখল নেওয়ার জন্য একটা আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সেটার অনুমতি মেলেনি। তবে ঋণগ্রহণকারী জানিয়েছেন ওই বাংলোটি চালু অবস্থায় রয়েছে।
তবে ২০ অগস্ট সেল নোটিশ দেওয়ার পরে ঋণগ্রহীতা বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা রফাতে আসতে চেয়েছিলেন। সেখানে তাদেরকে বলা হয়েছিল,বিক্রি করার আগে তাদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে।
কিন্তু ব্যাঙ্কের সেই নোটিশ তুলে নেওয়া হল কেন?
ব্যাঙ্কের মুখপাত্র জানিয়েছেন, অন্যান্য কেসের মতোই এই সেল নোটিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর মধ্যে আলাদা কিছু নেই।
বিজেপি এমপি সানি দেওল। পাহাড় প্রমাণ ধারের টাকা আদায় করতে তাঁর জুহুর বাংলো নিলাম করবে ব্যাঙ্ক, এমনই কথা উঠেছিল। তবে সেই নোটিশ পরে প্রত্যাহার করা হয়। এরপরই এনিয়ে হইচই পড়ে যায়। বলা হয় বিজেপির প্রভাবেই এই নোটিশ তোলা হল।
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইটে লেখেন, ৫৬ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে মেটাননি সানি দেওল। সেকারণে ব্যাঙ্ক তাঁর জুহুর বাংলো নিলাম করবে এমনটাই কথা ছিল। গোটা দেশ এটা জানত। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোমবার সকালে জানা গেল সেই ই -অকশনের নোটিশ প্রত্যাহার করেছে ব্যাঙ্ক। টেকনিকাল কারণে এটা করা হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু এই টেকনিকাল কারণটা আনল কে?
প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ৫৫.৯৯ কোটি টাকা ব্যাঙ্কে বকেয়া রয়েছে সানির। এরপরই তাঁর বাংলো নিলাম করার নোটিশ জারি করা হয়েছিল।