কানে জয়জয়কার হয়েছে কেনেডি-র। দেশজুড়ে চলছে অনুরাগ কশ্যপের এই ছবি মুক্তির অপেক্ষা। তার আগে ২৯তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে সানি লিওন অভিনীত ‘কেনেডি’র প্রদর্শন। সেই ছবি ঘিরে রবিবার দিনভর উত্তেজনা। দুপুর থেকেই নন্দনের সামনে বিরাট লাইন। কিন্তু স্ক্রিনিংয়ের সময় তাল কাটল ছবি উৎসবের!
ষষ্ঠদিনে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে ধুন্ধুমার কাণ্ড কেনেডি-র প্রদর্শন ঘিরে। দর্শকের ভিড় লাগামছাড়া, অথচ নন্দন ১-এর দর্শকাসন সীমিত। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বাঁধে সিনেপ্রেমীদের। ধাক্কাধাক্কি, মারপিট- ছবি দেখতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়েও হলে ঢুকতে পারলেন না দর্শকরা। উৎসবের মেজাজে আচমকাই আতঙ্কের ছায়া ঘনিয়ে আসে। রেগে দিয়ে অপেক্ষারত দর্শক কেনেডির স্ক্রিনিং বন্ধের দাবি তোলে।
ছুটির দিনে ছবি উৎসবে এমনিতেই অন্যদিনের তুলনায় ছিল বেশি ভিড়। আর ছবি উৎসবে সানি লিওনের ছবি ঘিরে উন্মাদনার পারদ ছিল তুঙ্গে। আগে কান, সিডনির মতো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হলেও, ভারতে এখনও পর্যন্ত সেভাবে প্রদর্শিত হয়নি, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা কেনেডি। ছবির স্ক্রিনিংয়ে হাজির ছিলেন অনুরাগ কশ্যপ, রাহুল ভাটরা। যা আলাদা মাত্রা দেয় কেনেডি ঘিরে কলকাতার ছবিপ্রেমীদের উন্মাদনার।
অনুরাগ আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে কলকাতার ছবিপ্রেমীদের সঙ্গে বসে কেনেডি দেখবেন। আর এই বসা নিয়েই ঝামেলার সূত্রপাত। হলের বাইরে যে লম্বা লাইন ছিল, তার অর্ধেক দর্শকসংখ্যা নন্দনের। তার উপর আগের ছবির ‘চালচিত্র’র স্ক্রিনিং শেষে হল ছেড়েই বার হননি অধিকাংশ দর্শক। তাতেই দুপুর থেকে লাইনে দাঁড়ানো দর্শকের ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙে।
যদিও নন্দনে তাঁর ছবির স্ক্রিনিং ঘিরে উত্তেজিত অনুরাগ কশ্যপ। বলেন- ‘নন্দনে আমার ছবির স্ক্রিনিং হচ্ছে, এটা আমার কাছে স্বপ্নপূরণ। এটা আমার প্রিয় শহর অন্তত খাবারের জন্য। আমার অনেক বন্ধু রয়েছে এ শহরে। আমি আজ দারুণ খুশি’।
কেনেডি-তে অনিদ্রা রোগে ভোগা এক প্রাক্তন পুলিস অফিসারের গল্প উঠে এসেছে। দুনিয়ার চোখে বহুদিন আগেই মৃত তিনি, তবে দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজব্যবস্থার বিরুদ্ধে অগোচরেই লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। সেই চরিত্রেই রয়েছেন রাহুল ভাট। অন্যদিকে সানির চরিত্র নিয়ে স্পিকটি নট পরিচালক, অভিনেত্রী।
সানি সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অনুরাগ কাশ্যপ এর আগে জানিয়েছেন, ‘আমি শপথ করে বলছি আমি কখনও তার কোনও সিনেমা দেখিনি। আমি ওর সাক্ষাৎকার দেখেছি। ওর চোখে মুখে একটা বিষণ্ণ ভাব রয়েছে, অতীত জীবন রয়েছে। আমার ৪০-এর উপরের একজন মহিলার দরকার ছিল। যাকে নিয়ে তার চারপাশের পুরুষরা যৌন চিন্তাভাবনা করে, ৫০-৬০ বছরের পুরুষরা। আমার সেক্সের অভিনয় দেখার দরকার ছিল না। আমার দেখতে হত এমন একজন যে সত্যিকারের জীবনে এরকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যায়। সানির মধ্যে, আমি এমন একজন মহিলাকে পেয়েছি যে এই সমস্ত জিনিসগুলিকে অতিক্রম করে এসেছে।’