সেরা অভিনেত্রী হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কৃতি শ্যানন। জীবনে প্রথমবার এতবড় সম্মান পেয়ে আপ্লুত কৃতি এবং তাঁর পরিবার। এখনও যেন পুরো বিষয়টি বিশ্বাসই হচ্ছে না কৃতির। জাতীয় মঞ্চে সেরা অভিনেত্রী হিসাবে নিজের নাম ঘোষণা হওয়ার পর ঠিক কী অনুভূতি হয়েছিল কৃতির, কী করেছিলেন তিনি?
আবেগতাড়িত কৃতি শ্যানন বলেন, ‘আমি কয়েক সেকেন্ডের জন্য থমকে গিয়েছিলাম। তারপর বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি। আমি মাকে ডাকতে শুরু করি, শুনে সঙ্গে আমার বোন নূপুরও এসে হাজির হল। এটি একটা আবেগময় মুহূর্ত ছিল যা আমি সবসময় মনে থাকবে। আমার মা নাচছিলেন, সবাই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলাম।’ কৃতির কথায়, নাম ঘোষণা হওয়ার সঙ্গেই তাঁর সারা শরীরে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল।
কৃতি আরও বলেন, ‘প্রত্যেকটি সম্মানের অর্থ অনেক। আর আমি কোনও ফিল্মি পরিবার থেকে অভিনয়ে আসিনি। যাইহোক অভিনয় দুনিয়ার অংশ হওয়া আমার কাছে অনেক বড় বিষয়। মিমির মতো সুযোগ যেকোনও অভিনেতার জন্যই বিরল। আর জাতীয় পুরষ্কার পাওয়া বিশাল বড় বিষয়। এটা প্রত্যেক অভিনেতারই স্বপ্ন। আমি ২০২০ সালে আমার ডায়েরিতে জাতীয় পুরস্কার জয়কে নিজের একটা স্বপ্ন হিসাবে লিখে রেখেছিলাম। তবে এত তাড়াতাড়ি এটা ঘটবে বলে আশা করিনি! এটি সরকারের কাছ থেকে আসা সর্বোচ্চ বৈধতা।’
এত বড় সম্মান ও পুরস্কার তাঁর কেরিয়ারে প্রভাব ফেলবে কিনা সে প্রশ্নেরও উত্তর দেন কৃতি। বলেন, ‘আমার ক্যারিয়ারে এর প্রভাব পড়বে কিনা আমি সত্যিই জানি না। তবে আমি এই পুরষ্কার পেয়ে ধন্য, আমি ভবিষ্যতের কথাও ভাবছি না! এটি আমাকে কৃতজ্ঞতার একটা দারুণ অনুভূতি দিয়েছে যা আমি আগে অনুভব করিনি। এটা সত্যি যে আমি এই শিল্পে যখন আসি তখন আমার অভিনয়ের কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না।... আমি খুব উচ্চাকাঙ্খী মানুষ এবং নিজের সেরাটা দিতে পেরেছি। আমি বিশ্বাস করি না যে আমি আমার সবটা দিতে পেরেছি, কারণ আমি এই দক্ষতা আরও বাড়াতে চাই। তবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার আমাকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।’
প্রসঙ্গত, ‘মিমি’ ছবির জন্য ৬৯তম জাতীয় পুরস্কারে সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেয়েছেন কৃতি। যে ছবিতে সারোগেট মা-এর ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে এই পুরস্কার কৃতি এককভাবে নয়, আলিয়া ভাটের সঙ্গে যুগ্মভাবে জিতেছেন।