দিন কয়েক আগেই বক্স অফিসে মুক্তি পেয়েছে ‘ক্রু’। বক্স অফিসের পাশাপাশি দর্শকদের মন জয় করেছে ছবিটি। বর্তমানের ছবির সাফল্যে ভাসছেন কৃতি স্যানন, করিনা কাপুর খান এবং টাবু।
চলতি বছরটা স্বপ্নের মতো কাটাচ্ছেন কৃতি স্যানন। প্রথম ‘তেরি বাতোঁ মে অ্যাইসা উলঝা জিয়া’, এরপর ‘ক্রু’—পরপর দুটি সিনেমা হিট। তবে সাফল্যের মধ্যেও কেরিয়ারের শুরুর দিকের সংগ্রাম ভুলে যাননি অভিনেত্রী। সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্টার কিডদের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অভিনেত্রী। কেরিয়ারের শুরুতে একাধিকবার বলিউডের তারকা সন্তানেরা তাঁর তুলনায় বেশি সুযোগ পেতেন বলে জানিয়েছেন কৃতি। বিষয়টা কখনও কখনও তাঁকে হতাশাগ্রস্ত করে তুলত বলেও মন্তব্য করেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: 'কোনওদিন খাইনি, অপপ্রচার করা হচ্ছে..’, কংগ্রেস নেতার গোমাংস মন্তব্যে এবার পালটা জবাব দিলেন কঙ্গনা
সাক্ষাৎকারে কেরিয়ার সম্পর্কে কৃতি বলেছেন, ‘একটা সময় ছিল যখন অনেক তারকা সন্তান নিজেদের প্রমাণ করার চেষ্টা করত। কিন্তু, করতে পারলেও আশ্চর্যের বিষয় হল এত কিছুর পরেও, তারা অনেক বড় সুযোগ পেয়েছিল। যাঁর ফলে অনেকের হতাশার জন্ম হত’। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘জীবনের এমন একটা পর্যায়ে ছিল যেখানে আমি খুবই অস্থির হয়ে পড়েছিলাম। কারণ আমি জানতাম, আমার সম্ভাবনা অনেক বেশি। আমি আরও বেশি কিছু চেয়েছিলাম। আরও গভীর কোনও চরিত্রের অপেক্ষায় থাকতাম। নিজেকে নতুন করে প্রমাণ করতে চাইতাম।’
আরও পড়ুন: লিপ জব করিয়েছেন? ‘ফিলটার বলে ফিলার নয়..’, নেটিজেনের ট্রোলের পালটা জবাব দিলেন মন্দিরা
তাঁর কথায়, ‘ভালো কোনো চরিত্র না পেলে আপনি নিজের প্রতিভা দেখানোর যথেষ্ট সুযোগ পাবেন না। ভালো সুযোগের জন্য আমাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।’ কৃতি জানান, তাঁর কাছে যখন কম সুযোগ ছিল, তখন তারকা সন্তানদের অনেকেই সহজেই কাজ পেতেন।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই ডেবিউ করবে বলিউডে, সারাকে জড়িয়ে এই ছেলেটিকে চিনতে পারছেন, বলুন তো কে
নিজের কেরিয়ারকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'আপনি যে রকম ঘড়া পাবেন, ততটাই আপনি তা ভরতে পারবেন। পাত্র ছোট হলে সেখানে আপনি কম জল ধরবে। বড় ঘড়ার জন্য আমাকে দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।' কৃতির কথায়, সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু নতুন মুখ ছিল, যারা কাজ করলেও সফল হয়নি। তবে তা সত্ত্বেও বারবার সুযোগ পেতে থাকে। অভিনেত্রী বলেন, ‘তখন ভাবতাম কী ভাবে এমন হতে পারে। কৃতি কথা মতো, যখন এই ছবিটি আমার কাছে এসেছিল, আমার মনে হয়েছিল যে সবকিছুরই একটা সঠিক সময় আছে’।