২০২২ সালের ২৪ মার্চের এক সকলে হঠাৎই খবর আসে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। ৬০ পেরনোর আগেই এভাবে যে বাংলা সিনেমার একসময়ের অন্যতম সুদর্শন হিরো মারা যাবেন তা বোধহয় কেউ ভাবতেও পারেনি। অভিষেকের চলে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েন তাঁর স্ত্রী সংযুক্তা আর মেয়ে ডল। যদিও সবটা একাই সামলেছিলেন সংযুক্তা। স্বামীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এখনও মাঝে মাঝে পুরনো ছবি পোস্ট করেন তিনি।
গত বছর বন্ধ ছিল অভিষেকের বাড়ির দুর্গা পুজো। কলকাতা ছেড়ে গত বছর মেয়ে ডলকে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সংযুক্তা। তবে এবার একার কাঁধেই সবটা দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন অভিষেক-পত্নী। আবার বেশ বড় করেই পুজো হচ্ছে চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে।
গত বছর সংযুক্তা জানিয়েছিলেন, ‘পুজোর বেশিরভাগ দায়িত্বই নিতেন অভিষেক। নিজেই পুজোর বেশিরভাগ কাজ করতেন।’ তবে এবার শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। ঠাকুরের বায়না দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলেও আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন সংযুক্তা। আরও পড়ুন: ৪০০ কোটিতে বিক্রি হল দেব আনন্দের জুহুর বাংলো, ভেঙে তৈরি হবে ২২ তলা বিল্ডিং
জানান, ‘গত বছর মনটা একেবারে ভালো ছিল না। আসলে তখনও মেনে নিতে পারিনি। পরে বুঝলাম অভি তো আমাদের ছেড়ে কোথাও যায়নি। ও আমাদের সঙ্গেই আছে। ফেসবুকে একটি মেয়েকে দেখেছিলাম সুন্দর-সুন্দর মূর্তির ছবি পোস্ট করতে। জানিয়েছিল ওর বাবা বানান। ওখানেই অর্ডার করেছি। মায়ের জন্য শাড়ি কিনেছি। নিজের জন্যও শাড়ি কিনেছি। ডলের লেহেঙ্গা পরার শখ হয়েছে। ওকে কয়েকটা লেহেঙ্গা চোলি কিনে দিয়েছি। আমি জানি সব পরিকল্পনাতেই আমার পাশে অভি রয়েছে।’
সংযুক্তা মেয়ে ডল অর্থাৎ সাইনার ছবি প্রায়ই শেয়ার করে থাকেন সামাজিক মাধ্যমে। মা-মেয়েকে ভালোবাসাও দেন নেট-নাগরিকরা। সাইনার বড় হয়ে বাবার পথে হেঁটেই অভিনয়ে আসার শখ। আর সংযুক্তাও জানিয়েছেন, মেয়ের স্বপ্নপূরণে সব রকমভাবে সাহায্য তিনি করবেন।
৪০ পেরিয়ে সংযুক্তাকে বিয়ে করেছিলেন অভিষেক। ২০০৮-এর ৩০ এপ্রিল দেখা হয়েছিল দুজনের প্রথমবার। এরপর মাসখানেকের ভিতর ৯ জুলাই বিয়ে হয় তাঁদের। ১৪ বছরের দাম্পত্য শেষ হয়েছিল অভিষেকের চলে যাওয়াতে। ২৪ মার্চ শ্যুট থেকে ফিরে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। মাত্র ৫৭ বছর বয়সে সকলকে ছেড়ে চলে যান তিনি। তবে স্বামীর স্মৃতি বুকে আগলে রেখে মেয়ে ডলকে নিয়েই জীবন শুরু করেছেন আবার নতুন করে।