শনিবার দাদাগিরির তারকা স্পেশাল এপিসোডে এসেছিলেন জয় সরকার ও লোপামুদ্রা মিত্র। সংগীত জগতের এই দুই তারকা জুটি একসঙ্গে এলেও, খেলেছিলেন একে-অপরের বিপরীতে। স্বামী-স্ত্রী আসবে, আর একে-অপরের নামে কোনও অভিযোগ করবেন না, তা কখনও হয়! সৌরভকে সামনে নিয়েও খুলে ফেললেন নালিশের ঝুলি!
দাদাকে বলতে শোনা গেল, ‘জয়ের ফেভারিট স্পট রাধুবাবুর চায়ের দোকান’। তাতে লোপামুদ্রা বলে ওঠেন, ‘অসহ্য। আমি দক্ষিণ কলকাতার। আমার অর্ধেরে বেশি গান, মানে যিনি তৈরি করতেন, রাধুবাবুর দোকানের উলটো দিকেই বসত। কিন্তু এখন ওর জয়জয়কার।’
সৌরভ এরপর বলে ওছেন, ‘লোপাদি তো খুব শান্ত মানুষ। বাড়িতেও শান্ত…’ থামিয়ে দিয়ে জয় বলে ওঠে, ‘তুমি কি কিছু বললে? মন একেবারে ভরে গেল। স্বপ্নে দেখা যায়। বাস্তবে নয়।’ পাশে থাকা বাবুলের মস্করা, ‘তাহলে তো ঠিকই আছে। স্বপ্নে দেখা যায় মানে তোমার ড্রিম গার্ল।’ এতে দাদার জবাব, ‘কিন্তু জয় শান্ত, দেখেই মনে হয় ও শান্ত।’ এবার মুখ খুললেন লোপামুদ্রা। মাথা নেড়ে বললেন, ‘হ্যাঁ… মিটমিটে’।
তবে মুখে যতই ঝগড়া হোক না কেন। বেশ কয়েকটি গান পরিবেশন করেন জয় আর লোপামুদ্রা যৌথভাবে। গিটারে জয় আর কণ্টে লোপা। যার মধ্যে রয়েছে ‘বন্ধু বিনে প্রাণ বাঁচে না’, ‘আমি শুনেছি সেদিন তুমি’-র মতো গান।
লোপামুদ্রার রয়েছে নিজস্ব পোশাকের ব্যবসা। আর তাতে মডেলিং করেন জয়। কেন বরকেই নেন বেছে নেন? লোপামুদ্রার যুক্তি, ‘ও পছন্দ করে না আমি অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে এত ইন্টিমেট হই।’ তবে লোপামুদ্রার এই দুষ্টু জবাব ধরে ফেলেন সৌরভ। বলেন, ‘আমার তো মনে হয় না জয় এতটা পজেসিভ। হতে পারে সুন্দর দেখতে বলে তুমি ওকেই নাও। বিনা পয়সায় এত ভালো মডেল জয় ছাড়া পাবে না।’
এবার মেনেই নিলেন লোপামুদ্রা শেষমেশ। বললেন, ‘না বাবা ওই ভালো আছে। ওই থাক। এত কথা শোনে। এইরকম মডেল পাওয়া খুব মুশকিল।’
২০০১ সালে দুজনে বসেছিলেন বিয়ের পিঁড়িতে। একসঙ্গে কাটিয়ে ফেলেছেন প্রায় ২৫ বছর। ২০১৮ সালের মার্চে যখন সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পী স্বামী জয়ের সঙ্গে ডিভোর্সের খবর রটেছিল লোপামুদ্রার। আসলে গায়িকাই সামাজিক মাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘গানজীবন একটাই। নিজের আনন্দ হল শেষ কথা। সুতোটা ছিঁড়ে দিলাম। নতুন ঘুড়ি ওড়াবো। লাটাইটা ২৫ বছরের পুরনো’। তবে এটা ছিল নতুন অ্যালবামের প্রচার। বিয়ে ভাঙার খবরকে উড়িয়েছিলেন ‘গুজব’ বলে।