বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Dilip Kumar-Saira Banu: দিলীপ কুমারের মৃত্যুদিবসেই নতুন ইনিংসের শুরু স্ত্রী সায়রা বানুর

Dilip Kumar-Saira Banu: দিলীপ কুমারের মৃত্যুদিবসেই নতুন ইনিংসের শুরু স্ত্রী সায়রা বানুর

সায়রা বানু-দিলীপ কুমার

সায়রা বানু আরও বলেন, 'আজ বিশেষ করে আমরা আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে দিনভর প্রার্থনা ও কোরআন খানি করব। ওঁর কবর দেখতে যাব এবং সেখানে প্রার্থনা করারও পরিকল্পনা করছি। প্রতিদিন অভাবীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করি কিন্তু আজ আমরা বিরিয়ানি, কাবাব এবং শির কোরমা সহ সাহাবের কিছু প্রিয় খাবার বানাব।

আজ ৭ জুলাই, দিলীপ কুমারের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী। আর এই দিনেই প্রথমবারের জন্য ইনস্টাগ্রামে হাজির হলেন সায়রা বানু। নিজের পোস্টে প্রয়াত অভিনেতা দিলীপ কুমারকে ‘কোহিনূর’ বলে উল্লেখ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী।

দিলীপ কুমারের সঙ্গে নিজের ছবি দিয়ে লেখেন, ‘আজ এই পোস্ট করছি তাঁদের জন্য যাঁদের ভালোবাসা দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পরও আমায় বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রিয় বন্ধুরা যাঁরা আমার কোহিনূর, দিলীপ কুমার সাহেবের প্রতি তাঁদের চিরস্থায়ী আবেগ, ভালবাসা এবং শ্রদ্ধা দিয়ে আজ অবধি আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। ৭ই জুলাই সকাল ৭টায় উনি চিরনিদ্রায় ডুব দিয়েছিলেন।’ সায়রা বানু আরও লেখেন, ‘আজ অবধি, আমি অনুভব করি যে উনি আমার সঙ্গেই রয়েছেন এবং যাই হোক না কেন আমরা এখনও জীবনের পথে একসঙ্গে হাঁটব, হাতে হাত রেখে, আমাদের চিন্তায় এক হয়ে সময়ের শেষ অবধি।’

আরও পড়ুন-ছোট্ট এভিলিন আর নেই, এই তো সেদিন সারেগেমাপা-র মঞ্চে নবজাতক মেয়ের সঙ্গে আলাপ করান কাবো

আরও পড়ুন-'শাহরুখ কুৎসিত, অভিনয়টাও জানেন না, শুধু নিজেকে ভালোকরে বেচতে জানেন', মত পাক অভিনেত্রীর

নিউজ ১৮-কে সায়রা বানু জানান, ‘আমি বুঝতে পারি না যে দিলীপ সাহাব ছাড়া দুই বছর কীভাবে কেটে গিয়েছে, উনি আমার আশেপাশে নেই। মনে হয় এই তো সেদিন আমি ওর মাথায় আদর করছিলাম বা ওকে খাওয়াচ্ছিলাম ওর প্রিয় খাবার। এমনকি ওঁর সঙ্গে কিছু গান শোনা। আমি আমার জীবনের প্রতি সেকেন্ডে ওঁকে স্মরণ করি। এই দিনটি আমার জীবনে একটি বজ্রঝড় হিসাবে আসে। দিলীপ সাহাব মারা যাওয়ার পর থেকে, জীবন আমার জন্য সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছে কারণ আমরা একসঙ্গে ৫৬ বছর কাটিয়েছি। স্বামী-স্ত্রী হিসাবেই জীবনে এগিয়েছি।’

সায়রা বানু আরও বলেন, 'প্রতিদিন আমরা ওর জন্য প্রার্থনা করি, তবে আজ বিশেষ করে আমরা আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদের সঙ্গে দিনভর প্রার্থনা ও কোরআন খানি (যাঁরা মারা গিয়েছেন তাঁদের শান্তির জন্য উর্দুতে বিশেষ প্রার্থনা) করব। এই দুঃখের সময়েও উনি সঙ্গে আছেন। আমি ওঁর কবর দেখতে যাব এবং সেখানে প্রার্থনা করারও পরিকল্পনা করছি। আমরা প্রতিদিন অভাবীদের মধ্যে খাবার বিতরণ করি কিন্তু আজ আমরা বিরিয়ানি, কাবাব এবং শির কোরমা সহ সাহাবের কিছু প্রিয় খাবার বানানোর পরিকল্পনা করছি। আমাদের বাড়িতে কিছু অনাথ শিশুকে খাওয়াবো। একটি সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে। আমি কিছু জিনিস দান করারও পরিকল্পনা করছি।

বন্ধ করুন