মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন দুবাইয়ের বাণিজ্য বৈঠকে সামিল হয়েছেন। এর আগে তিনি স্পেন এবং বার্সেলোনায় গিয়েছিলেন। দুবাইয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী আশরফ আলি অর্থাৎ শিল্পীগোষ্ঠী লুলুর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং সংযুক্ত আরব অমরশাহির বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়াউদির সঙ্গে দেখা করেন। লুলু গ্রুপ নিউটাউনে বিশ্বমানের শপিং মল গড়ে তুলবে। তাঁদের সঙ্গে মিটিং সেরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দেশে থাকা প্রবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। যোগ দেন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে। সেখানেই একের পর এক দেশাত্মবোধক গান শোনা গেল তাঁর গলায়।
দুবাইয়ের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কেবল একজন দক্ষ মুখ্যমন্ত্রী বা প্রশাসনিক কর্মকর্তা এমনটা একদমই নয়। তিনি একজন দক্ষ শিল্পীও বটে। তিনি যেমন ছবি আঁকেন, তেমনই গান লেখেন, কখনও সখনও আবার গানও। দুবাইয়ে শিল্পপতি এবং বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং সেরে প্রবাসীদের একটি অনুষ্ঠানে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানেই তাঁকে একটার পর একটা গান গাইতে শোনা যায়। এখানে যেমন তিনি বাংলা গান গেয়েছেন তেমনই হিন্দি গানও শোনা যায় তাঁর কণ্ঠে।
প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, অ্যায় মেরে ওয়াতানকে লোগো ইত্যাদি গান গেয়েছেন তিনি। এই অনুষ্ঠানেই তাঁকে বলতে শোনা যায় যে আগামী বছর থেকে পয়লা বৈশাখকে বাংলার প্রতিষ্ঠা দিবস হিসেবে পালন করা হবে। আর রাজ্যের জাতীয় গান হিসেবে তিনি বাংলার মাটি, বাংলার জলকে বেছেছেন বলেও জানান। ইতিমধ্যেই ৭ সেপ্টেম্বর এই দুটি বিষয় বিবেচিত হওয়ার পর প্রস্তাব পাস হয় বিধানসভায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী একজন সাংবাদিককে ডেকে নেন। তারপর তাঁর সঙ্গেই অ্যায় মেরে ওয়াতানকে লোগো গানটি গান।
তাঁকে এদিনের অনুষ্ঠানে প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে, বাংলার মাটি বাংলার জল গান দুটিও গান। জানান এই গান তাঁর উপস্থিত সকলের প্রতি ভালোবাসার প্রকাশ।
মুখ্যমন্ত্রীর উপহার
সংযুক্ত আরব অমরশাহির বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়াউদিকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে আঁকা ছবি উপহার দেন। দুজনকে সেই আঁকার ফ্রেম ধরা অবস্থায় ছবি তুলতেও দেখা যায়।