'সালটা ১৯৮২, হাতে এল পালান'-এর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট'। একথা অঞ্জন দত্তের ভয়েস ওভারে শোনা যাওয়ার পরই দেখা গেল একটা ভাঙা বাড়ি। তারপরই ফের অঞ্জন দত্তকে বলতে শোনা গেল ‘এই বাড়িতেই ভেন্টিলেশনের অভাবে মারা গিয়েছিল ছেলেটা’। পুরনো সেই বাড়ির দেওয়াল খসে পড়তে দেখা গেল। তারপর অঞ্জন দত্ত কাউকে একটা চেঁচিয়ে বলে উঠলেন, ‘একদম চুপ, আমার সামনে কেউ মিথ্যে কথা বলবে না।’ এরপরের দৃশ্যেই দেখা গেল পুরনো উত্তর কলকাতার সেই বাড়িতে পড়ে চাপ চাপ রক্ত, তদন্তের জন্য পুলিশ ঢুকছে। 'পালান'-এর টিজারের শুরুতে এমনই কিছু ঝলক ফুটে উঠল। দেখা গেল, পুরনো বাড়িতে জমে থাকা কিছু মানুষের চাপা কষ্ট।
হ্যাঁ, ছবির নাম পালান। যে ছবির পরিচালক কৌশক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯৮২ সালে মুক্তি পেয়েছিল মৃণাল সেন পরিচালিত ছবি ‘খারিজ’। সেই ছবি থেকেই 'পালান' ছবিটি তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের জন্ম শতবর্ষে শ্রদ্ধা জানাতেই এই ছবি বানিয়েছেন পরিচালক। 'খারিজ' ছবিটিকেই বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে নতুন রূপ দিয়েছেন তিনি। যেখানে অভিনয় করেছেন অঞ্জন দত্ত, মমতা শঙ্কর, শ্রীলা মজুমদার, যিশু সেনগুপ্ত, পাওলি দামের মতো অভিনেতারা। এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য দুটোই পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় নিজেই লিখেছেন।
আরও পড়ুন-রূপান্তরকামী বোনের থেকে রাখি পরে কী বললেন রামকমল?
আরও পড়ুন-শরীর বদলে শ্রী এখন নারী, মাও হয়েছেন, সেই রপান্তরকামী বোনের থেকে রাখি পরলেন রামকমল
টিজারে মমতা শঙ্করকে বলতে শোনা গেল, ‘বিয়ের পর প্রথম এই বাড়িতেই উঠেছিল ছেলেটা।’ দেখা মিলল যিশু সেনগুপ্ত ও পাওলি দামেরও, তাঁদের চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। সবশেষে অঞ্জন দত্তকে বলতে শোনা গেল, ‘আমার অবস্থাটা এক্কেবারে পালানের মতো, থাকার জায়গা নেই, সিঁড়ির তলাও নেই।’ প্রসঙ্গত, মৃণাল সেনের 'মৃগয়া' ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মমতা শঙ্কর। যে ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতেছিল। মমতা শঙ্কর বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে এখনও মনে হয় মৃগয়া ছবির প্রথম শট দিচ্ছি। মৃণাল সেনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ভোলার নয়।’ মৃণাল সেনের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলা মজুমদারও। যেজন্য তিনি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করেন।
এই ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন নীল দত্ত । প্রতীক চক্রবর্তীর প্রযোজনায় আসছে এই ছবি। নিবেদন করেছে প্রমোদ ফিল্মস এবং দ্য বিগ ডে।