সালটা ১৯৭৬। মুক্তি পেল মৃণাল সেনের মৃগয়া। আর সেই ছবিতে একাধিক জিনিসের পাশাপাশি নজর কাড়লেন একজন, মমতা শঙ্কর। সেই শুরু। তারপর করেছেন একাধিক ছবি। কিন্তু এই প্রথম সুযোগটা এসেছিল কীভাবে এটা অনেকেরই অজানা। সেই কথাই এদিন তিনি দিদি নম্বর ওয়ানে জানান।
দিদি নম্বর ওয়ানে মমতা শঙ্করের জীবনের গল্প
সদ্যই মুক্তি পেয়েছে প্রধান। এই ছবিটির প্রচারে দিদি নম্বর ওয়ানে খেলতে এসেছিল গোটা টিম। মমতা শঙ্কর ছাড়াও ছিলেন দেব, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌমিতৃষা, প্রমুখ। তাঁদের সঞ্চালিকা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নানা বিষয়ে কথা বলতে দেখা যায়। তখন কথার মাঝে সঞ্চালিকা মমতা শঙ্করকে জিজ্ঞেস করেন যে তাঁর ছেলেবেলা কেমন কেটেছে? অভিনয়ের সুযোগ এল কীভাবে? তখনই তিনি জানান গোটা গল্পটা।
আরও পড়ুন: 'বাংলায় স্টাররাই লড়ে, আর দক্ষিণে...' শনিবারের বিকেলে দর্শকদের 'ক্লাস' নিলেন অঙ্কুশ, শেখালেন কী?
আরও পড়ুন: বিফ খেয়ে পুরীর মন্দিরে প্রবেশ করেছিলেন জনপ্রিয় ইউটিউবার? বিতর্ক উসকাতেই বললেন, 'আমি সাচ্চা হিন্দু'
এদিন কথার মাঝে মমতা শঙ্কর বলেন, 'আমার ছোটবেলা আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই কেটেছে। শুধু আমাদের বাড়িতে কোথাও নাচ তৈরি হতো, কোথাও পোশাক। তবে কেউ আমায় কখনও জোর করেননি যে আমায় নৃত্যশিল্পী হতে হবে।' এরপর তিনি মৃগয়ায় সুযোগ পাওয়ার গল্প জানিয়ে বলেন, 'ছোটবেলা থেকে অনেক অফার এসেছিল অভিনয়ের জন্য। কিন্তু বাবা মা চাননি অত ছোট বয়সেই অভিনয় জগতে যাই। আমার দাদা মৃণাল দার তিনটি ছবিতে গানের দায়িত্ব সামলেছিলেন। তখনই মৃণাল দা আমায় বলেছিলেন তুমি কখনও অভিনয় করার কথা ভাবলে আগে আমায় জানাবে। এরপর কলেজে উঠে যখন যোগাযোগ করি তখনই উনি জানান একটা ছবিতে এখনই একটি সাঁওতালি মেয়ে প্রয়োজন। ব্যাস হয়ে গেল।'
প্রধান ছবিতে মমতা শঙ্করকে পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর চরিত্রে দেখা যাচ্ছে। ২২ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। প্রধান ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় আছেন দেব। এছাড়া অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন অনির্বাণ চক্রবর্তী, সৌমিতৃষা কুণ্ডু, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তী, প্রমুখ।