১৪ এপ্রিল সর্বত্র ধুমধাম করে পালিত হল বাংলার নববর্ষ। আর এই বিশেষ দিন উপলক্ষ্যে এদিন দিদি নম্বর ওয়ানে সানডে ধামাকা তথা নববর্ষ স্পেশ্যাল পর্বে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিদি নম্বর ওয়ান খেলতে এসেছিলেন কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা। সেখানেই শ্রীতমা ভট্টাচার্য ওরফে পুতুলের প্রেমের গল্প ফাঁস হয়ে গেল। কার সঙ্গে প্রেম করছেন তিনি?
আরও পড়ুন: স্ট্রিক্ট ডায়েটকে ফাঁকি দিয়ে ফুচকা খেতে যান ভিকি! বললেন, 'কয়েক মাস না পেলেই মনে হয়....'
দিদি নম্বর ওয়ানে ফাঁস পুতুলের গল্প
এদিন শিমুল তার বন্ধু এবং ননদকে সঙ্গে নিয়ে দিদির মঞ্চে এসেছিল। সেখানে নববর্ষের খাওয়া দাওয়া এবং খেলার পাশাপাশি চলেছে অনেক হাসিমজা। আর সেখানেই সকলে মিলে শ্রীতমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে মশকরা শুরু করেন। তিনি যে একাই গোটা সেট মাতিয়ে রাখেন সেটা ফাঁস করে দেন সকলে। মানালি বলেন, 'ওকে কেউ শান্ত করতে পারে না। খালি আমি একটু বকা দিলে শোনে। নইলে সারাক্ষণ নেচে নেচে বেড়ায়।' এদিন স্নেহা চট্টোপাধ্যায় এবং সৃজনী মিত্র জানান শ্রীতমা নাকি সারাক্ষণ সেটে খেতে থাকেন। তাও আবার যেমন তেমন ভাবে নয়। বেশ চব্য চোষ্য করে তাঁকে খেতে হয়। পাউরুটি টোস্ট খেলে তাতে বাটার লাগাতেই হয়, বিরিয়ানি তো আকছার সেটে আসে। এসব নিয়ে মানালিদের সঙ্গে মিলে রচনাও শ্রীতমার সঙ্গে মজা করেন। তারপরই ওঠে অভিনেত্রীর প্রেমের গল্প।
আরও পড়ুন: দাদাগিরিতে জীবনের পাঠ পড়ালেন সৌরভ, সুদীপ্তাকে কেন বললেন, 'রাস্তায় নেমে হাত না নোংরা হলে...'?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন তাঁকে তাঁর বিশেষ মানুষের কথা জিজ্ঞেস করায় শ্রীতমা জানান, 'কই কেউ নেই।' তিনি এই কথা বলাতেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে ওঠেন, 'ও তাহলে হয়তো দাদা হয়। ভাইফোঁটা দেবে।' এরপর রচনাই বর্ণনা দেয় শ্রীতমার প্রেমিকের। বলে, 'সে রোগা পাতলা নয়, বেশ ভারী চেহারা।' এটা শুনে স্নেহা এবং মানালি না না করে ওঠেন। বলেন, 'তুমি যা বর্ণনা দিচ্ছ তার সঙ্গে তো সেই ব্যক্তির মিল নেই। সে আরেকজন।' এটা শুনেই হতবাক হয়ে গিয়ে নিজেরাই হেসে ফেলেন। তাহলে শ্রীতমার আসল প্রেমিক বুঝে উঠতে পারেন না কেউই। কিন্তু চলে দেদার মজা।
দিদি নম্বর ওয়ান প্রসঙ্গে
দিদি নম্বর ওয়ান বাংলার অন্যতম পুরনো রিয়েলিটি শো। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সঞ্চালিত এই শো প্রতি সোমবার থেকে শনিবার পর্যন্ত বিকেল পাঁচটা থেকে সম্প্রচারিত হয়। অন্যদিকে রবিবার রাত আটটা থেকে দেখা যায় এই শো।