Maushumi-Lata: মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের পায়ের সামনে বসে পড়েন লতা মঙ্গেশকর! ‘অদ্ভুত সুন্দর’ মুহূর্তের পিছনে ছিল কী কারণ

খুব ছোট বয়সে সাফল্য পেয়েছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। টলিউড-বলিউডে কাজ করেছিলেন টানা। কেন তাঁর পায়ের সামনে বসেছিলেন এভাবে ‘নাইটিঙ্গেল’ লতা মঙ্গেশকর?

১৯৬৭ সালে তরুণ মজুমদারের ‘বালিকা বধূ’র হাত ধরেই বাংলা সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। একটা সময় দাঁপিয়ে কাজ করেছেন তিনি বাংলা-হিন্দি সিনেমাতে। উত্তম কুমার থেকে শুরু করে অমিতাভ বচ্চনের নায়িকা হিসেবে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে এখন বিরতি নিয়েছেন অভিনয় থেকে। চলতি বছরে পান দাদাসাহেব ফালকে সম্মানও।

সম্প্রতিই মৌসুমী এসেছিলেন সারেগামাপা রিয়েলিটি শো-তে। সেখানে বিচারকের আসনে বসে থাকা শ্রেয়া ঘোষাল, কুমার শানুদের সঙ্গে ভাগ করে নেন লতা মঙ্গেশকরকে নিয়ে একটি সুন্দর স্মৃতি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘লতা মঙ্গেশকর যখন প্রথমবার কলকাতা গিয়েছিলেন, তখন তাঁরা উঠেছিলেন হেমন্ত কুমারের বাড়িতে। আর যখন আমি বউ হয়ে এখানে এলাম, আমার শ্বশুর আমাকে তারদেও রেকর্ডিং স্টুডিয়োতে নিয়ে গিয়েছিল। হেমন্ত কুমার আমাকে পরিচয় করিয়ে বললেন, উনি লতা মঙ্গেশকর। কোনও কথা নেই, উনি আমার পায়ের সামনে বসে পড়লেন। নিজের পায়ের থেকে সোনার নুপুর খুলে পরিয়ে দিলেন আমার পায়ে।’

পাশে থাকা শ্রেয়া ঘোষাল বলে ওঠেন, ‘দারুণ! মহামূল্যবান ছবি’! যাতে মৌসুমী জবাব দেন, ‘এগুলোই আমার জীবনের অ্যাওয়ার্ড। কখনো তাই আর অ্যাওয়ার্ড কেনার প্রয়োজন হয়নি।’ বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর মুখে এমন কথা শুনে সকলেই হেসে ওঠেন। প্রাণখোলা স্বভাবের জন্য সকলেই চেনেন মৌসুমীকে। মশকরা করার সুযোগ হাতছাড়া করেন না কখনো।

হেমন্ত কুমারের পরিবার মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিল। হেমন্ত প্রথম থেকেই স্থির করে রেখেছিলেন মৌসুমীকে নাত বৌ করবেন। 

জানা যায়, হথাৎই মৌসুমীর পরিবারের একজন ক্যানসারের আক্রান্ত হয়, ধরা পড়ে একেবারে শেষ পর্যায়ে এসে। তিনিই হেমন্ত কুমারকে প্রশ্ন করেছিলেন, মৌসুমীর বিয়ে কী দেখে যেতে পারবেন না। ব্যস আর কি, উঠ ছুড়ি তোর বিয়ে! তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৫ বছর। পড়াশোনা করছেন। তারপর বিয়ের পর বন্ধ করে দেন লেখাপড়া। কারণ তখন তাঁর ঝুলিতে একের পর এক ছবি। মাত্র ১৭ বছর বয়সে মা হয়েছিলেন মৌসুমী। তাঁর দুই মেয়ের নাম পায়েল ও মেঘনা। পায়েল অর্থাৎ অভিনেত্রীর ছোট মেয়ে ২০১৯ সালেই মাত্র ৪৫ বছরে প্রয়াত হয়েছেন।

মৌসুমী শেষবার কাজ করেছেন বড় পর্দায় সুজিত সরকারের পিকু ছবিতে।