সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন বটে, আর ভোটে না দাঁড়ানোর কথাও বলেছিলেন জোর গলায়, তবে দেব বুঝিয়ে দিলেন দায়িত্ব এলে সব কাজই তিনি করতে প্রস্তুত জান লড়িয়ে। বুধবার দিনভর পাশকুঁড়ার এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ভোট প্রচার করেছেন টলিউড সুপারস্টার। বরাবরের মতো এদিনও ছিল জনঅরণ্য। কোনওদিনই তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকায় কোনও রাজনৈতিক নেতা বা বড় অভিনেতা নন, বরং ঘরের ছেলে।
জোর গলায় দেব জানিয়ে দিলেন তিনি ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে বাস্তবে করতে বদ্ধপরিকর। বাংলার সুপারস্টার বললেন, ‘যদি আমাকে আরেকটা জন্ম নিতে হয় নেব, কিন্তু ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান করেই ছাড়ব…’। এদিন রাজনৈতিক প্রচার চালানোর সঙ্গেই এলাকার কচি-কাঁচাদের সঙ্গে আড্ডা জমালেন। ছোটদের মধ্যে দেবের জনপ্রিয়তা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। এদিন খুদেদের হাতে লজেন্স, ক্যাডবেরি তুলে দিতেও দেখা গেল তাঁকে। ‘দেবদা’কে কাছে পেয়ে খুশি ওরাও।
বুধবারের মুহূর্তগুলি নিজের এক্স হ্যান্ডেলেও (আগের টুইটার) শেয়ার করলেন দেব। ক্যাপশনে লিখলেন, ‘পাঁশকুড়াবাসীর সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়ে আমরা অভিভূত ও আপ্লুত।’
বছরের শুরু থেকেই বেশ ব্যস্ত দেব। প্রথমে করলেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে টেক্কার কাজ। পুজোতে আসছে এই সিনেমাটি। গত বছর পুজোতেও ক্ল্যাশ লেগেছিল বক্সঅফিসে। তবে ২০২৪ সালে তাঁরা হাত মিলিয়ে আনছেন থ্রিলার। এই সিনেমায় আরও আছেন রুক্মিণী মৈত্র ও স্বস্তিকা।
টেক্কার শ্যুটের মাঝেই ফাইনাল করেছিলেন খাদানের লোকেশন। আর তারপর খাদানের শ্যুটও শুরু করে দেন। সেখানে ফার্স্ট শিডিউল শেষ করেই চলে আসেন ঘাটালে। শুরু করেন নির্বাচনী প্রচার। খুব সম্ভবত ভোট মিটলে ফের সিনেমার কাজে হাত দেবেন। আপাতত দিল্লি পাখির চোখ গোটা তৃণমূল দলের।
তবে ২০২৪-এর লোকসভার লড়াইটা খুব একটা সহজ হচ্ছে না দেবের জন্য। কারণ, বিপরীতে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছেন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। অভিনেতা হিসেবে দেব টক্কর দিয়ে গেলেও, রাজনীতির মঞ্চে বিপক্ষককে এক ফোঁটা জমি ছাড়েন না হিরণ। বরাবরই তাঁর নিশানায় থেকেছে দেব। আর এবার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খেলা আরও বেশি জমবে!
দুর্ণীতি ইস্যুতে দেবকে একাধিকবার কাঠগড়ায় তুলেছেন হিরণ। কখনও গোরু পাচার, কখনও কাটমানি খাওয়ার অভিযোগ তো কখনও আবার ইডি-র দেবকে ডাকা। এমনকী, বান্ধবী রুক্মিণীকে নিয়ে বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার কারণেও, দেবের সমালোচনা করেছেন হিরণ। প্রযোজনায় পরের পর সিনেমা আনাকেও। তাঁর দাবি, সবই নাকি ‘চুরির টাকা’।