না এখনো হারিয়ে যায়নি মানবিকতা । আবারো একবার তার সাক্ষী থাকলো শহর কলকাতা। করোনা আবহে যখন পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাটাই দস্তুর , সেই সময় পথের পাশে পরে থাকা এক অনামী অসহায় আর্তের সেবায় এগিয়ে এলেন এক তরুণী । আর সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তাঁর সাহায্যের আবেদন জেনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন যাদবপুরের অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তী ।
শুক্রবারের ঘটনা । আরাধনা চট্টোপাধ্যায়ের নামের ওই তরুণী ও তাঁর বন্ধু জয়দীপ সেন রাস্তায় বেরিয়ে দেখতে পান পথের ধারে বাসস্টপে একজন অসুস্থ বৃদ্ধ পরে রয়েছেন । তাঁর এক পায়ে ক্ষতস্থান বিষিয়ে উঠে গ্যাংগ্রিন হয়ে গিয়েছে এবং সেই স্থলে রীতিমতো পোকা ধরে গিয়েছে । অসহায় বৃদ্ধ যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন এবং উঠে দাঁড়াবারও ক্ষমতা হারিয়েছেন । তাঁকে পাশ কাটিয়ে এড়িয়ে চলে যাচ্ছেন পথচলতি মানুষজন । অনেকেই দুর্গন্ধে নাকে চাপা দিয়েছেন কিন্তু সাহায্যের জন্য কেউই এগিয়ে আসেননি । কী করবেন বুঝে উঠতে না পেরে সমস্ত ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট করে আরাধনা সাহায্য চান সকলের কাছে ।
ঘটনাচক্রে তাঁর ভাইরাল পোস্ট অভিনেত্রী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর নজরে আসে । সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিজে লালবাজারে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন । তাঁরই তত্ত্বাবধানে শনিবার শম্ভুনাথ পন্ডিত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই বৃদ্ধকে । তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে । এই ঘটনায় আরো একবার ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গেল মিমিকে। নায়িকার কাছ থেকে এইরূপ প্রত্যক্ষ সহায়তায় আপ্লুত আরাধনা। ফেসবুকে পোস্ট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যাদবপুরের সাংসদকে এবং কলকাতা পুলিশকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে মিমি বা তাঁর টিম বরাবরই যথেষ্ট সক্রিয় । এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা জনতা কারফিউয়ের দিন চা খেতে বেরিয়ে ভাইরাল হওয়া নেটিজেনদের প্রিয় চা কাকু অর্থাৎ দক্ষিণ কলকাতার শ্রী কলোনির বাসিন্দা মৃদুল দেবের আর্থিক দুর্দশার কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী সাংসদ । আমফান সাইক্লোনে বিধ্বস্তদেরও পাশে দাঁড়িয়েছেন মিমি।