অবশেষে নিজের ভুল বুঝতে পারল সিদ্ধার্থ। ফের একবার ‘মিঠাই’ হাসি ফোটাল মোদক পরিবারের মুখে। সোমের বায়োলজিক্যাল বাবা নয় সমরেশ, এতোদিনে এই পর্দা ফাঁস হল সিদ্ধার্থ ও গোটা মোদক পরিবারের সামনে। মিঠাইয়ের মায়ের মৃত্যু, মিষ্টি হাবের পথচলা, ওমি আগারওয়ালের এন্ট্রি, এই সবের মাঝে অনেকেই ভাবছিলেন সোমের পিতৃত্ব রহস্য বোধহয় ধামাচাপা পড়ে গেল কিন্তু মোটেই তেমনটা ঘটেছে না।
মিঠাই প্রমাণ করে দিল তাঁর শ্বশুরমশাই এক্কেবারে নির্দোষ। ডিএনএ রিপোর্ট বদলে মিথ্যা দায় চাপানো হয়েছিল বড়বাবুর ঘাড়ে। সমরেশ মোটেই সোমের জন্মদাতা পিতা নয়। এই এই সত্যিটা সবার সামনে এনে শুধু শ্বশুরকে চরম অপমানের হাত থেকে শুধু রক্ষা করাই নয়, সিদ্ধার্থর চোখেও বাবার প্রতি সম্মান আর শ্রদ্ধা ফিরেয়ে আনলো মিঠাই।এদিন সবার সামনে সিদ্ধার্থ স্বীকার করে নিল নিজের ভুল।
দাদাই,পিসিমণির সামনে সিদ্ধার্থ বলে, গতকাল মিঠাই রাস্তায় আচমকাই দেখে ত্রিদিবেশ জয়িতাকে টাকা দিচ্ছে, এতেই সন্দেহ দানা বাঁধে মিঠাইয়ের মনে। এরপর তুফান মেলের জোরাজুরিতে শ্রীতমা,রাতুল এবং রুদ্র-বসুন্ধরা সবাই মিলে হাজির হয় সেই মেডিক্যাল ল্যাবে। এরপর রাতুল সেখানকার রেকর্ড ঘাঁটাঘাটি করে দেখতে পায় সমরেশ মোটেই সোমের বায়োলজিক্যাল বাবা নন, সেই রিপোর্ট বদলে দেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধার্থ দাদাইয়ের উদ্দেশে বলে, ‘আমরা পাথল্যাবে গিয়ে দেখেছি সোমদার সঙ্গে এবাড়ির বড়বাবুর ডিএনএ ম্যাচ করে না। আমরা এতোদিন তোমার ছেলেকে ভুল বুঝেছিলাম’।
আবারও মিঠাই নিজ গুণে প্রমাণ করল কেন মোদক বাড়ির যোগ্য বউমা সে, মিঠাইকে নিয়ে এখন ধন্য ধন্য নেটমাধ্যমে। সিদ্ধার্থ সমরেশের আদর্শ ছেলে হতে না পারলেও মিঠাই কিন্তু আদর্শ বউমা বলছে নেটপাড়া।