মৃত্যুকে সঙ্গী করেই রাখি বন্ধন পালন হল 'মনোহরা'য়। দাদাদের হাতে রাখি পরিয়ে দিল বোনেরা। তারা ওমিকে দেখিয়ে দিল, চরম বিপদেও ভেঙে পড়বে না মোদক পরিবারের সদস্যরা।
গৃহবন্দি সিদ্ধার্থরা। বাড়ি থেকে বেরনোর উপায় নেই। ফোন না থাকায় বাইরে কারও সঙ্গে যোগাযোগের রাস্তা বন্ধ। সকাল সকাল স্ত্রীকে ফোনে না পেয়ে সন্দেহ জাগে রাতুলের মনে। বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে সন্দেহ আরও গাঢ় হতেই 'মনোহরা'য় ছুটে যায় সে। সেখানে গিয়ে জানতে পারে ওমির পরিকল্পনার কথা। বাড়ির ভিতরে ঢুকলেই বিপদ। বোমা ফেটে শেষ হয়ে যেতে পারে সব কিছু। বাইরে থেকেই তাই সকলকে সাহায্য করার চেষ্টা করে রাতুল। পুরো বিষয়টি রুদ্রকে জানায়।
রুদ্রর নির্দেশে 'মনোহরা'য় পৌঁছয় স্পেশ্যাল অফিসার সুদীপ্ত রায়। তার সঙ্গে বিস্ফোরক নিষ্ক্রিয় করার টিম। মেগাফোনের মাধ্যমে বাড়ির ভিতরের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলা হয়। পুলিশের নির্দেশ মতো বিস্ফোরক খুঁজতে শুরু করে সিদ্ধার্থরা। কিন্তু কিছুই করা গেল না!
(আরও পড়ুন: মৃত্যুকে সঙ্গী করে 'মনোহরা'য় রাখি বন্ধন! ওমির হাতেই শেষ সিদ্ধার্থ-মিঠাই?)
অন্য দিকে, স্ত্রী এবং তার পরিবারকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে রাতুল। ওমির নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করে তাকে খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে সে। শেষমেশ অনেক কষ্টে অপরাধীর আসল ঠিকানা পাওয়া যায়।
পুলিশের তৎপরতা দেখে চাপে ওমি। শেষমেশ পরিকল্পনা সফল হবে তো? মনে প্রশ্ন জাগছে তার। সে ভাঙবে তবু মচকাবে না। মিঠাইয়ের পরিবারের উপর মানসিক অত্যাচার জারি রেখেছে সে। বিভিন্ন ভাবে তাদের মনোবল ভেঙে দিতে চাইছে।
(আরও পড়ুন: দরজা-জানলা খুললেই মৃত্যু অনিবার্য! সিদ্ধার্থর কাঁধে পরিবারকে রক্ষা করার দায়িত্ব)
জীবন-মৃত্যুর দড়ি টানাটানি। প্রত্যেক মুহূর্তে আতঙ্ক। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত মোদক পরিবারের সদস্যরা। তা হলে কি ওমির ষড়যন্ত্রেই শেষ হয়ে যাবে সব কিছু? ধুলোয় মিশে যাবে 'মনোহরা'? এখন সেটাই দেখার।