ছবি বিশ্বাসের জায়গায় এবার রহমত আলির বেশে ধরা দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। ১ অগাস্ট থেকেই শুরু হচ্ছে এই ছবির শুটিং। পরিচালনায় আছেন সুমন ঘোষ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট গল্প অবলম্বনে তপন সিংহের সেই কালজয়ী সিনেমা আসছে একদম নতুন রূপে।
তপন সিংহের বানানো কাবুলিওয়ালা আজও বাঙালির মননে গেঁথে আছে। সেই স্মৃতি কি নতুন করে উসকে দেবে সুমন ঘোষের কাবুলিওয়ালা। নাকি নতুন করে জায়গা করে নেবে নিজের? এই প্রশ্নের উত্তর তো সময়ই দেবে। তবে আপাতত এই ছবির শুটিং শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। আগামী শীতে মুক্তি পাবে এই নতুন নতুন কাবুলিওয়ালা।
কিন্তু তবুও কোথাও গিয়ে কী একটা চাপ কাজ করে না যে নতুন কাজ মানুষ কীভাবে নেবেন, সমালোচনা হবে কিনা, ইত্যাদি? নিশ্চয় করে। বিশেষ করে এই যুগে যখন পান থেকে চুন খসলেই ট্রোলের বন্যা বয়ে যায় তখন এটা ভাবায় বইকি। কিন্তু পরিচালক সুমন ঘোষ সেটাকে হ্যান্ডেল করছেন কীভাবে? এই বিষয়ে আনন্দবাজারকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে সুমন বলেন, 'তুলনা বা সমালোচনা তো থাকবেই, কিন্তু ভয় পেয়ে পিছিয়ে গেলে তো কাজই হবে না কোনও। আমি এই ছবির কাজ কতটা সততার সঙ্গে করছি সেটাই বিবেচ্য হওয়া উচিত।'
কিন্তু এত বছর পর আবার কেন কাবুলিওয়ালাকে বড় পর্দায় আনার কথা ভাবলেন সুমন? তাঁর কথায়, 'আমার কাছে কাবুলিওয়ালা একটা প্রেমের গল্প। আর এই সময়ের জন্য তো ভীষণই প্রাসঙ্গিক। ধর্ম, জাতি, ভাষা সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে রহমত আর মিনির মধ্যে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল তার মধ্যে একটা মানবিকতার বার্তা আছে। পৃথিবীর এখন যা অবস্থা তাতে এই গল্পটা আবার মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে।'
১৯৬৫ সালের প্রেক্ষাপটে চিত্রনাট্য সাজাচ্ছেন তিনি। মূল কাহিনিকে অবলম্বন করেই এগোচ্ছেন সুমন। কিন্তু সব সাল ফেলে কেন আচমকা ১৯৬৫ সালকে বেছে নিলেন সেটা অজানা।
এটা প্রথমবার নয় যখন সুমনের সঙ্গে কাজ করবেন মিঠুন। তাঁরা এর আগে নোবেল চোর ছবিতে কাজ করেছেন। এখানে মিনির মা বাবার চরিত্রে সোহিনী সরকার এবং আবির চট্টোপাধ্যায়কে দেখা যাবে। তবে মিনি হিসেবে একদম নতুন একটি মুখ দেখা যাবে বলেই জানিয়েছেন পরিচালক। এই ছবির বিষয়ে তিনি আরও একটি তথ্য দিয়েছেন। বলেছেন, 'গল্প বেশ কিছু পরিবর্তন করেছি আমি। ছবি দেখলে সেগুলো স্পষ্ট হবে।'
কাবুলিওয়ালা ছবিটির প্রযোজনা করছে এসভিএফ এবং জিও স্টুডিওজ। শীতের ছুটিতে এবার দেবের প্রধানের মুখোমুখি হবে মিঠুনের কাবুলিওয়ালা।