লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু ইন্ডাস্ট্রির জন্য গানের পুরো যুগের অবসান ঘটিয়েছে। লক্ষ লক্ষ ভক্ত লতা মঙ্গেশকরের গানে পাগল ছিল, তাঁকে 'ভারতের নাইটিঙ্গেল' বলা হয়। তবে তার মানে এই নয় যে গায়িকার কোনও প্রতিপক্ষ ছিল না। লতা মঙ্গেশকরও বিরোধিতা করেছিলেন এবং আমরা আপনাকে এমন একজন গায়কের কথা বলতে যাচ্ছি যিনি অনেকবার লতা মঙ্গেশকরের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি আর কেউ নন, বর্ষীয়ান গায়ক মহম্মদ রফি।
রেকর্ডিংয়ের জন্য সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন রফি
প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন লতা মঙ্গেশকর। এত বেশি গান রেকর্ড করেছিলেন যে, তার নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠেছিল তাঁর। এই দাবিতে আপত্তি ছিল মহম্মদ রফির। তিনি এর বিরোধিতাও করেছিলেন। কারণ তাঁর মতে যে গায়কটি সর্বাধিক সংখ্যক গান রেকর্ড করেছিলেন তিনি ছিলেন মহম্মদ রফি, লতা দিদি নন।
সমর্থন করেছিলেন কিশোর কুমার
পরবর্তীতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে মহম্মদ রফির নামও গিনেস বুকে রয়ে যায় দীর্ঘদিন। যদিও কয়েক বছর পর এই রেকর্ড ভেঙে যায়। শুধু তাই নয়, লতা মঙ্গেশকর যখন গায়কদের জন্য রয়্যালিটির দাবি জানিয়েছিলেন এবং সমস্ত গায়কদের পক্ষ নিয়ে বিষয়টির সুর চড়ান, তখনও মহম্মদ রফি তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন। সেই সময়ে শুধুমাত্র একজন পুরুষ গায়ক কিশোর কুমার, লতা মঙ্গেশকরকে সমর্থন করেছিলেন।
রয়্যালটি ইস্যুতে ঘেরাও হয়েছিলেন লতা
জানা যায়, তখনকার দিনে শুধু সুরকাররাই রয়্যালিটি পেতেন। লতা মঙ্গেশকর দাবি জানিয়েছিলেন, গায়কদেরও রয়্যালিটি পাওয়া উচিত। যে যুগে লতা দিদি আওয়াজ তুলেছেন, গান গাওয়ার ক্ষেত্রে নারীরা তেমন সম্মান পেতেন না। এমতাবস্থায় তাকে প্রবল বিরোধিতার সম্মুখীন হতে হয়। সবথেকে বেশি লতার বিরোধীতা করেছিলেন মহম্মদ রফি।