শনিবার নতুন করে প্রাণে মারার হুমকি দিয়ে ই-মেল এসেছে সলমন খানের অফিসে। তারপর থেকেই ফের নড়েচড়ে বসেছে মুম্বই পুলিশ। হুমকি চিঠির পর সলমনের নিরাপত্তা আরও বেশি করে আঁটসাট করা হয়েছে। গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার, লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নামে এফআইআরও দায়ের করা হয়েছে। তবুও ভাইজানের নিরাপত্তায় কোনওরকম ফাঁক রাখতে চায় না পুলিশ।
রোহিত গর্গ নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকে হুমকি ভরা ই-মেল আসে ভাইজানের কাছে। জানা গিয়েছে ২৪ ঘন্টা সলমনের নিরাপত্তায় দু জন অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর এবং ৮-১০ জন পুলিশ কনস্টেবল মোতায়েন থাকবেন। পাশাপাশি সলমন খানের বান্দ্রার বাড়ি, গ্য়ালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের সামনে ফ্যানেদের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।
আগেই সলমনকে Y+ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। বুলেট-প্রুফ গাড়িতে করেই এখন যাতায়াত করেন ভাইজান, পুলিশ ছাড়াও ২৪ ঘন্টা সলমনের সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকে তাঁর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা। দাবাং খানের ব্যক্তিগত বডিগার্ড শেরা নিজে খতিয়ে দেখেন সলমনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সবদিক।
শনিবারের আসা হুমকি ই-মেলের পর প্রশান্ত গুঞ্জালকর মুম্বই পুলিশের কাছে এফআইআর রুজু করান। সলমনের বাড়িতে প্রায়ই যাতায়াত রয়েছে প্রশান্ত গুঞ্জালকরের, তিনি আর্টিস্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি চালান। ওইদিন বিকালে সলমনের অফিসে তিনি ওই হুমকি ই-মেল দেখেন। কী লেখা ছিল সেখানে? জানা গিয়েছে ওই ই-মেলে লরেন্স বিষ্ণোই ‘ম্যাটার ক্লোজ’ করার কথা বলেছেন সলমনকে। ওই হুমকি ভরা মেলে গোল্ডি জানতে চেয়েছেন যে সলমন লরেন্সের ইন্টারভিউটা দেখেছেন কিনা যেখানে লরেন্স বিষ্ণোইকে কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যার জন্য সলমনকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন,না হলে ফল ভোগ করার হুমকি দিয়েছেন। তিহার জেলে বন্দি গ্যাংস্টার লরেন্সের ডানহাত গোল্ডি।
আরও পড়ুন-‘ভারতীয় মেয়েরা অলস’ মন্তব্যের জেরে ট্রোলড, ক্ষমা চাওয়ায় সোনালির প্রশংসা সোনার
প্রশান্তের কথায় ওই ই-মেলে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘এখনও সময় আছে, পরের বার ঝটকা লাগবে’। ইতিমধ্যেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০-বি, ৫০৬-II এবং ৩৪ ধারায় এপআইআর রুজু করা হয়েছে। গত বছর জুন মাসেই হাতে লেখা চিঠি দিয়ে সলমন খানকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পাঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসওয়ালার হত্যার মামলায় আপতত জেলবন্দি লরেন্স।
কেন লরেন্স বিষ্ণোইয়ের টার্গেট সলমন খান?
এর জন্য পিছিয়ে যেতে হবে দু দশক। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্র বলে গণ্য করা হয় কৃষ্ণসার হরিণকে। কৃষ্ণসার হরিণের রক্ষকর্তা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের অংশ লরেন্স। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের উপর যোদপুরে ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে বেশ কয়েকবার সলমন খানকে শার্প শ্যুটার দিয়ে হত্যার ছক কষেছে লরেন্স বিষ্ণোই। ২০১৮ সালে প্রকাশ্যে সে জানিয়েছিল, ‘যোদপুরে সলমন খানকে আমরা হত্যা করব’।
প্রসঙ্গত, কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলা এখনও যোধপুর কোর্টে বিচারাধীন। কিসি কা ভাই কিসি কী জান ছবিতে দেখা যাবে। এটি ইদের দিন মুক্তি পেতে চলেছে। তবে এই হুমকির জেরে ছবির প্রচার কাজে যে বেশ বাধা আসবে তা স্পষ্ট।