বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Pinaki Chaudhuri: আলোর উৎসবের মাঝে নিঃশব্দে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী বাঙালি পরিচালক

Pinaki Chaudhuri: আলোর উৎসবের মাঝে নিঃশব্দে চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী বাঙালি পরিচালক

প্রয়াত পিনাকী চৌধুরী

Pinaki Chaudhuri: চলে গেলেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী প্রযোজক-পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। শোক প্রকাশ অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়ের। 

কালীপুজোর আনন্দে মাতোয়ারা সকলে। এর মাঝেই চুপিসাড়ে চলে গেলেন দু'বারের জাতীয় পুরস্কার জয় বাঙালি পরিচালক পিনাকী চৌধুরী। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিউরের জেরে সোমবার ভোররাতে চলে গেলেন ‘সংঘাত’ পরিচালক। ভর্তি ছিলেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। বেশ কয়েক মাস ধরেই লিম্ফোমা আক্রান্ত ছিলেন তিনি।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের কৃতী ছাত্র পিনাকী চৌধুরী, তবে ছেলেবেলা থেকেই শিল্পকলার প্রতি তাঁর টান। তবলা বাজাতেন নিয়ম করে। ওস্তাদ কেরামাতুল্লাহ খান এবং লন্ডনে কিংবদন্তি পণ্ডিত রবিশঙ্করের সাথে তবলা বাজিয়েছিলেন তিনি। প্রযোজক হিসাবে ছবির জগতে পা রাখেন পিনাকী চৌধুরী। এরপর পরিচালনার কাজে মন দেন। আশির দশকের গোড়ার দিকে ‘চেনা অচেনা’ (১৯৮৩) ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি পরিচালনায় হাতেখড়ি। যে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, তনুজা, অমল পালেকরের মতো শিল্পীরা।

ছবি পরিচালনার পাশাপাশি দূরদর্শনের জন্য একাধিক টেলিফিল্ম পরিচালনা করেছিলেন তিনি। শুধু বাংলা নয়, জাতীয় স্তরেও কাজ করেছেন তিনি। আশির দশকে সাড়া জাগানো ‘নরক’,'অতিক্রম', ‘ওয়াজুদ’, ‘একবার ফির’-এর মতো টেলিফিল্মসের পরিচালক তিনি।

১৯৯৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল পিনাকী চৌধুরীর ‘সংঘাত’। এই ছবির ঝুলিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মঞ্চে এসেছিল তিনটি পুরস্কার। সেরা বাংলা ছবি, নারীদের সমস্যা তুলে ধরবার জন্য সেরা প্রযোজক এবং অভিনেত্রী দোলন রায় সেরা অভিনেত্রীর সম্মান পেয়েছিলেন জুরিদের তরফে। ২০০৭ সালে 'বালিগঞ্জ কোর্ট' ছবির জন্য ফের একবার জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হন প্রয়াত পরিচালক। তাঁর পরিচালিত শেষ ছবি ‘আরোহণ’ (২০১০)। দেশে-বিদেশের একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়িয়েছে এই ছবি। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার প্রয়াত পরিচালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। 

এদিন বর্ষীয়ান পরিচালকের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেন অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়। ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ভাস্বর। তাঁর কথায়, লন্ডনে শ্যুট হওয়া প্রথম বাংলা ছবি ছিল ‘বালিগঞ্জ কোর্ট’, আউটডোর শ্যুটের না-ভোলা স্মৃতি শেয়ার করেন অভিনেতা। শেষে লেখেন, ‘শান্তিতে ঘুমোবেন স্যার, আর কে কি করবে জানি না তবে আমি আপনাকে আজীবন ভুলব না।’

 

বন্ধ করুন