টানা এক সপ্তাহ ধরে স্ত্রীর উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁকে খেতে দেননি, বিছানায় শুতে দেননি। এমনকি স্নান করার জন্য বাথরুমে পর্যন্ত যেতে দেননি। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির আইনজীবী। একটি বক্তব্যে রিজওয়ান সিদ্দিকি বলেন, 'আমার ক্লায়েন্ট, আলিয়া সিদ্দিকিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য যা যা করা দরকার সবটাই মিস্টার নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তাঁর পরিবারের লোকজন করেছেন। তাঁরা আমার ক্লায়েন্টের নামে একটি ক্রিমিনাল কমপ্লেন পর্যন্ত করেছেন। পুলিশকে দিয়ে ওঁকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে, রোজ হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমনকি প্রতিদিন সন্ধার পর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে।'
একই সঙ্গে এই আইনজীবী জানান, 'কোনও পুলিশকর্মী এগিয়ে আসেননি আমার ক্লায়েন্টের পাশে দাঁড়াতে। তাঁর অধিকার রক্ষার জন্য কেউ তাঁর পাশে ছিলেন না। পুলিশ অফিসারদের সামনে যখন তাঁর সঙ্গে অসভ্যতা করা হয় কেউ তার বিরোধিতা করেননি। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে যে কেবল প্রশ্ন তোলা হয় সেটাই নয়, তাঁদের ছোট্ট ছেলেটির বিষয় নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। আমার ক্লায়েন্ট তাঁর শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ৫০৯ ধারায় লিখিত অভিযোগ অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।'
এতদূর বলেই থামেননি তিনি। অভিনেতা তো বটেই, পুলিশদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পর তিনি আরও বলেন, 'নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং তাঁর পরিবার গত সাতদিন ধরে আমার ক্লায়েন্টকে কোনও খাবার দেননি, বিছানায় শুতে দেননি। এমনকি বাথরুমে পর্যন্ত যেতে দেননি। আমার ক্লায়েন্টের আশপাশে সবসময় একাধিক পুরুষ বডিগার্ড মোতায়েন করে রাখতেন। সারা বাড়ি জুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রেখেছেন। বর্তমানে আমার ক্লায়েন্ট তাঁর সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকছেন।'
এই প্রসঙ্গে এই আইনজীবী জানান, 'এত কিছুর পরও আমার ক্লায়েন্ট যাতে নওয়াজউদ্দিন বা তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও কোর্ট কেস না করতে পারেন, আমি যাতে তাঁর সই না নিতে পারি সেটার সবরকম চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যতই হুমকি দেওয়া হোক আমি এবং আমার টিম আলিয়ার সই নিতে পেরেছি কোর্ট কেস করার জন্য। এখন কোর্টে তাঁদের নামে একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সম্পত্তি বিষয়ক কিছু নিয়ে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির মা আলিয়ার নামে গত সপ্তাহে পুলিশে অভিযোগ করলে তারপর আলিয়া দাবি করেন যে অভিনেতা এবং তাঁর পরিবার নাকি তাঁকে হেনস্থা করেছেন। বর্তমানে অভিনেতার আন্ধেরির বাড়িতে সন্তানকে নিয়ে আলাদা থাকছেন আলিয়া। কিছুদিন আগেই পাসপোর্টের সমস্যার কারণে ইয়ানি এবং শোরাকে নিয়ে দুবাই থেকে ফিরে আসেন আলিয়া।