বৃহস্পতিবার ধুমধাম করে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য, মানে খড়কুটো ধারাবাহিকের গুনগুন এবং কৃষ্ণকলির নিখিল। তাঁদের বিয়েতে স্মরণীয় করে রাখল আত্মীয়,পরিজন, বন্ধুরা। সবচেয়ে বড় উপহার হিসাবে তৃণার বিয়েতে তাঁকে আর্শীবাদ দিতে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তপসিয়ার গ্রিন অর্কিডে বসেছিল ‘তৃনীল’-এর বিয়ের আসর। খড়কুটো পরিবার থেকে, কৃ্ষ্ণকলি টিমের সদস্যরা পৌঁছেছিলেন নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানাতে। হাজির ছিলেন সৃজিত-মিথিলারাও।
এদিন পরিনতি পেল নীল-তৃণার এক দশক পুরোনো প্রেম সম্পর্ক। কলেজ জীবনের প্রেম জুটির, এমবিএ ক্লাসে শুরু হওয়া প্রেমের কাহিনি পেল কাঙ্খিত পরিনতি। নৌকায় চ়়ড়ে, ভিনটেজ গাড়িতে বিয়ে করতে এলেন নীল। লাল টুকটুকে বেনারসিতে স্বপ্নের রাজপুত্রের জন্য দু চোখ মেলে অপেক্ষায় ছিলেন তৃণা। সাত পাক ঘুরে, মালাবদল, সিঁদুরদান পর্ব সেরে নতুন জীবন শুরু করেছেন নীল-তৃণা। এখন থেকে তাঁর মিস্টার অ্যান্ড মিসেস ভট্টাচার্য।
বিয়ের পর্ব শেষে বাসর রাতে বসেছিল জমাটি গানের আড্ডা। স্ত্রীর জন্য নীল গান ধরলেন ‘তু জানে না’। এরপরেই আরও একটা রোম্যান্টিক নাম্বার ‘তু বস দে দে মেরা সাথ’। সিঁদুর রাঙা কপালে স্বামীর সঙ্গ দিতে গানে গলা মেলালেন তৃণাও।
তৃণা-নীলের বিয়ের একটি ছবি, ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিয়ের পরেও একে অপরকে আদরে, সোহাগে ভরিয়ে দিলেন নবদম্পতি। রাত যত গাঢ় হল, তাঁদের ভালোবাসার রঙ আরও গাঢ় এবং বন্ধন মজবুত হল। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি, ভ্যালেন্টাইনস ডে'র দিন বসবে ‘তৃনীল’-এর গ্র্যান্ড রিসেপশন।