সম্প্রতি, 'দ্য কপিল শর্মা শো'-এ হাজির হয়েছিলেন নীতু কাপুর এবং এবং তাঁর বড় মেয়ে ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি। শো কিচ্ছুক্ষণ শুরু হওয়ার পর দেখা গেল হাসতে হাসতে কপিলের হাত ধরে অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রবেশ করছেন নীতু। ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি ও নীতু কাপুরকে প্রথমবার কোনও টেলিভিশন অনুষ্ঠানে একসঙ্গে দেখতে পেলেন দর্শকরা। ঋষি কাপুরের ৬৯তম জন্মবার্ষিকীর সপ্তাহেই টিভির পর্দায় সম্প্রচারিত হয়েছিল নীতু-ঋদ্ধিমা জুটির এই এপিসোড। শো চলার এক ফাঁকে নীতু জানালেন বিভিন্ন সময়ে করা ঋষির টুইটের সুবাদে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পাশাপাশি বিস্তর ঝামেলাও পোহাতে হয়েছে তাঁকে। একবার তো খুনের হুমকি পর্যন্ত পেয়ে বসেছিলেন তাঁরা!
এখানেই না থেমে এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরও এক ঘটনার কথা ফাঁস করেন। নীতুর কথায়, ' ঋষির ওই টুইট করা নিয়ে যথেষ্ট বিরক্তই হতাম। রীতিমতো রেগে যেতাম। একবার কী হল, কিছু একটা টুইট করেছেন উনি। কী করেছেন সে ব্যাপারে আমার কোনও ধারণাই ছিল না। ওই সময়ে বাড়িএ বিরাট একটা অংশ জুড়ে কাজকর্ম চলছিল বলে আমি আর উনি আলাদা আলাদা থাকছিলাম। একদিন গাড়ি করে বাংলোর সামনে হাজির হয়েছি, দেখি প্রায় শ'তিনেক লোক সেই জায়গা ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আর মুখে মুহুর্মুহু স্লোগান দিচ্ছে 'ঋষি কাপুর হায়! হায়!' এসব দেখে তো বিরাট ভয় পেয়ে গেছিলাম। চোখে পড়ল বাংলো ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রচুর পুলিশও। আমাকে গাড়ি থেকে নামতে দেখে তাঁরা ছুটে এসে আমার কাছে বললেন যে ঋষিজীর করা একটি টুইট থেকে এইসব ঘটনা ঘটছে। শুনে তো আমি হাঁ!'
সামান্য থেমে নীতু আরও বললেন যে পুলিশ অফিসারের মুখ থেকে ওই কথা শোনার পর রাগের চোটে নিজেকে আর সামলাতে পারেননি তিনি। রীতিমতো সঙ্গে করে ওই পুলিশ অফিসারকে নিয়ে বাড়ির মধ্যে ঢুকে হাঁকডাক শুরু করেছিলেন। ঋষি কাপুর তখন একমনে টিভি দেখছিলেন। তারপর তিনিও যখন পুলিশের মুখে এই ঘটনা শুনলেন, ভয় বা অবাক হওয়ার বদলে মুচকি হেসে বলেছিলেন, 'স্যার, এইসব টুইট করার জন্য মনের জোরের প্রয়োজন হয়। বুঝলেন!' ঋষির এই কাণ্ড দেখে স্তম্ভিত হয়ে গেছিলেন নীতু।