লাল সিং চড্ডার শ্যুটিংয়ে গত সপ্তাহেই তুরস্কে উড়ে গিয়েছেন আমির খান। করোনা আবহের মধ্যে আপতত বিদেশেই ছবির শ্যুটিং সারছেন আমির, অক্ষয়রা। লাল সিং চড্ডার শেষ পর্বের গোটা শ্যুটিংই হবে তুরস্কে। ইস্তানবুলে (তুরস্কের রাজধানী) যাওয়ার পর এয়ারপোর্ট, হোটেলে ভক্তদের সঙ্গে আমিরের একাধিক ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু রবিবার তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনি এরদোগানের সঙ্গে আমির খানের আনুষ্ঠানিক সাক্ষাত্-এর ছবি সামনে আসবার পর থেকেই ক্ষুদ্ধ এদেশের নেটিজেনরদের একটা বড় অংশ।
শনিবার তুরস্কের ফার্স্ট লেডি তাঁর অফিসিয়্যাল টুইটার অ্যাকাউন্টে আমির খানের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, আমার দারুণ একটা সৌভাগ্য হয়েছে ইস্তানবুলে বিশ্বের অন্যতম পরিচিত অভিনেতা,পরিচালক আমির খানের সঙ্গে দেখা করবার। আমি এটা জেনে খুশি হলাম, আমির খান তাঁর সাম্প্রতিকতম ছবি লাল সিং চড্ডার শ্যুটিংয়ের শেষ অংশ তুরস্কের বিভিন্ন জায়গায় করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন'।
ভারতের স্বাধীনতা দিবসে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির সঙ্গে আমির খানের এই আনুষ্ঠানিক বৈঠক কেন 'চোখের বালি' নেটিজেনদের একটা বড়ো অংশের? সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-তুরস্কের দ্বিপাক্ষিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক খুব একটা মজবুত নয়। বিশেষত গত কয়েক মাসে বিভিন্ন ইস্যুতে তুরস্ক যেভাবে প্রতিবেশি রাষ্ট্র পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে আমির খানের সঙ্গে তুরস্কের ফার্স্ট লেডির এই অফিসিয়্যাল বৈঠক ভালোভাবে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। আর্টিকেল ৩৭০ ধারা বিলুপ্ত করা, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশেই দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। সম্প্রতি তুরস্কের এক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মন্তব্য করেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ভারত সরিয়ে দেওয়ার পর উপত্যকায় শান্তি পরিস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটেছে।
দেখুন সেই নিয়ে ক্ষুদ্ধ টুইটারবাসীদের প্রতিক্রিয়া-
তবে আমিরি ভক্তরা অবশ্য অভিনেতার পাশে দাঁড়িয়ে জানিয়েছে এটা নেহাতই একটা সৌজন্য সাক্ষাত্, এর সঙ্গে রাজনীতির রঙ মেশানো উচিত নয়।
উল্লেখ্য অদ্বৈত চন্দন পরিচালিত লাল সিং চড্ডা হলিউডের জনপ্রিয় ছবি ফরেস্ট গাম্পের অফিসিয়্যাল রিমেক। এই ছবিতে আমির খানের বিপরীতে রয়েছেন করিনা কাপুর। ২০২১-এর ক্রিসমাসে মুক্তি পাবে লাল সিং চড্ডা।