Mukesh-Nitin Mukesh: সন্তানের স্কুলের ফি দিতে সবজি বিক্রেতার থেকে ধার নেন গায়ক মুকেশ, অকপট ছেলে নীতিন

Mukesh: নীতিন মুকেশ সম্প্রতি ফাঁস করেছেন, বাবা, কিংবদন্তি গায়ক মুকেশ মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো হিট দেওয়ার পরেও ছয়-সাত বছর অর্থ কষ্টে ভুগেছিলেন।

আওয়ারা হুঁ এবং মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো হিট শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন মুকেশ

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ছিলেন মুকেশ। তবে একটা সময় প্রচুর অর্থকষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন কাটিয়েছেন প্রয়াত গায়ক। সবজি-বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা ধার করে ছেলের স্কুলের মাইনে মিটিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি প্রয়াত গায়ক মুকেশের ছেলে নীতিন মুকেশ একথা ফাঁস করেছেন।

আওয়ারা হুঁ এবং এবং মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো হিট গানের পরেও মুকেশ আর্থিক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। নীতিন মুকেশ এক রিয়ালিটি শোয়ে এসে বলেছেন, 'জীবনে এত উত্থান-পতনের সঙ্গে কারও সংগ্রাম শুনিনি। জল-খাবার না খেয়েও দিন কাটিয়েছেন তিনি। আশ্চর্যের বিষয় হল আওয়ারা হুঁ এবং মেরা জুতা হ্যায় জাপানি-এর মতো বিখ্যাত গান গেয়ে তিনি 'দ্য মুকেশ জি' হয়েছিলেন। এরপর ছয় থেকে সাত বছর লড়াই করেছেন।'

বাবার লড়াইয়ের দিনগুলির কথা স্মরণ করে নীতিন বলেছেন, ‘একটা সময় আমার এবং আমার বোনের স্কুলের ফি দেওয়ার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। আমার এখনও মনে আছে, আমাদের বাড়ির কাছে একজন সবজি বিক্রেতা ছিলেন। তিনি মুকেশ জিকে ভালোবাসতেন এবং তাঁর কণ্ঠস্বর এতই পছন্দ করতেন, বাবাকে বেশ কিছু টাকা ধার দেওয়ার প্রস্তাব নিজে থেকেই দিয়েছিলেন। এভাবেই মুকেশ জি আমাদের স্কুলের বেতন মিটিয়েছিলেন। তবে তিনি এবং ওই সবজি বিক্রেতা কেউই আমাদের পরিবার পর্যন্ত এ বিষয়টি পৌঁছোতে দেননি।’

সা রে গা মা পা-তে নীতিন মুকেশ 

গায়ক আরও বলেছিলেন, ‘মা আমাদের সব বলতেন, ‘দেখো বাবা কেমন কঠিন সময় পার করছে’। এগুলি এমন কিছু স্মৃতি যা আমি কখনই ভুলতে পারব না। আমি সব সময় মনে মনে বলি, আমি যেন তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করতে পারি। তিনি কখনই হাল ছাড়েননি এবং সবসময় বলতেন, একজন বিজয়ী হিসাবে লড়বেন এবং তিনি তাই করতেন।’