গত মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া কিফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাওয়া রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে উসকে গিয়েছিল বিতর্ক। এবার নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য সরকার। কবিগুরুর রচিত গানে কোনও বদল করা হবে না। তাঁর তৈরি করা বাংলার মাটি বাংলার জল অপরিবর্তিত থাকবে বলেই জানানো হল।
রাজ্য সঙ্গীত নিয়ে নতুন বিজ্ঞপ্তি
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলার মাটি বাংলার জল গানটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করার কথা বললে সকলে সম্মতি দেন তাতে। পরবর্তীতে এটিকে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর কিফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উসকে যায় একাধিক বিতর্ক। তারপর বিরোধীদের সমস্ত কুৎসা, রটনা দূর করে সরকারের তরফে নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নবান্নের তরফে জানানো হল রবি ঠাকুরের লিখে যাওয়া কথাই থাকবে। কোনও পরিবর্তন করা হবে না সেখানে।
বিতর্ক উঠলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেন। এবং তাঁরা সকলেই জানান এভাবে রবীন্দ্র সঙ্গীতের কথা বদল করা ঠিক হবে না। এতে বাঙালির ভাবাবেগে আঘাত লাগবে। তাঁদের কথা অনুযায়ী রাজ্য সরকার গানের কথা অপরিবর্তিত রাখল। রবিবার এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে জানানো হয়েছে পয়লা বৈশাখকে বাংলা দিবস হিসেবেও পালন করা হবে।
কী নিয়ে বিতর্কের শুরু?
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সঙ্গীত হল রবি ঠাকুরের লেখা স্বদেশ পর্যায়ের গান ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’। সেই গানটির লিরিক্স বদলে কিফের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘বাঙালির পণ বাঙালির আশা’কে বদলে ‘বাংলার পণ, বাংলার আশা’ করে গাওয়া হয়। আর সেটা দেখে শুনে অনেকেই বেজায় বিরক্ত হয়েছিলেন। করেছিলেন বিরোধিতাও, উসকে গিয়েছিল বিতর্কও।