মুক্তির অপেক্ষায় যশ দাশগুপ্ত আর নুসরত জাহানের সিনেমা ‘সেন্টিমেন্টাল’। নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা YD Film থেকে প্রথম ছবি এটি। ছেলে ঈশান দাশগুপ্তের নামেই এটি খুলেছেন তিনি। আর তার প্রথম ছবি নিয়ে উত্তেজনা তো থাকবেই। সম্প্রতি টলিউডের এই জনপ্রিয় জুটি এসেছিলেন দিদি নম্বর ১-এ।
বুধবারই নুসরত-যশের সিনেমার নাম বদলের খবর এসেছে। এতদিন ছবিটি মেন্টাল নামেই পরিচিত ছিল। তবে সেন্সর বোর্ডের তরফেই এসেছে নাম বদলের নির্দেশ। মেন্টালের আগে তাই জুড়ে দিয়েছেন সেন্টি। তবে যতই নাম বদল হোক না কেন, ছবির প্রচারে কোনও ফাঁক রাখতে রাজি নন দুজনে।
পরিচালক বাবা যাদবের এই ছবিতে তিন নম্বরবার জুটিতে যশ-নুসরত। ছবিতে ইন্সপেক্টর সূর্য রায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন যশ। আর নুসরতের চরিত্রটির নাম পুজা। গল্পে দেখানো হয়েছে রঘুনাথপুরের বিধায়ক রুদ্রাণী চৌধুরী চালায় নারী পাচার, স্মাগলিং-এর ব্যবসা। আর সেসব আটকাতে ও রুদ্রাণীর আসল চেহারা সামনে আনতেই লড়াই যশের। তবে তারই মাঝে রোম্যান্সে মজে হ্যান্ডসাম পুলিশ অফিসার। ১৯ জানুয়ারি হলে আসছে সিনেমা।
সেন্টিমেন্টাল ছবির জন্য অনস্ক্রিন চুটিয়ে প্রেম করেছেন যশ আর নুসরত। তবে অফস্ক্রিনে তাঁদের প্রেম বা বিয়ে কোনওটাই সিনেমার গল্পের থেকে কম উত্তেজনার নয়। ২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কের বোদরুমে নিখিল জৈনের সঙ্গে রূপকথার বিয়ে সেরেছিলেন নুসরত জাহান। দু-বছরের মাথাতে নুসরত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, নিখিল জৈনের সঙ্গে বিয়ে ‘বৈধ নয়’। কারণ, এটা যেহেতু হিন্দু-মুসলিম বিয়ে সেক্ষেত্রে বিশেষ বিবাহ আইন অনুসারে এই বিয়েতে স্বীকৃতি দরকার। সেটা হয়নি। তাই এটাকে সহবাসই বলা যেতে পারে।
এসবের মাঝেই খবর আসে, নুসরতের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার। কে তাঁর বাচ্চার মা, তা নিয়েও চলতে থাকে জল্পনা। তবে ছেলে ঈশানের জন্মের পর হঠাৎই ভাইরাল হয় একটি বার্থ সার্টিফিকেট। জানা যায়, সেই সন্তানের বাবা অভিনেতা যশই। এমনকী, প্রেগন্যান্সি জার্নি ছিল ভরপুর করোনা আর লকডাউনের সময়। আর তখন যশের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। এরপর ধীরে ধীরে বাইরে আসে যশ-নুসরতের বিয়ের খবরও। যদিও প্রকাশ্যে দুজনেই খুব একটা কথা বলেন না ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
দিদি নম্বর ১-এ যশ-নুসরতের আসার একটি প্রোমো শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে হেডফোন রাউন্ডে এক মহিলার কানে জোরে জোরে বাজছে গান। আসলে এখানে মুখ দিয়ে কিছু কথা বলে সামনে থাকা মানুষটা। আর ঠোঁট নাড়া দেখে তা অনুমান করতে হয় প্রতিযোগীকে। তাই এভাবে বাজানো হয় গান।
দেখা গেল, মস্করা করেই রচনা সেই প্রতিযোগীকে প্রশ্ন করছেন, ‘নুসরত যশকে কী বলে?’ আর তাতে কানে বাজতে থাকা গানটিই বলেন ওই প্রতিযোগী, ‘তুই আমার টাটকা প্রিয়া মারি রে…’!