লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেল। সবচেয়ে বড় কথা এসে গেল সেই কাঙ্খিত প্রার্থী তালিকা। যার জন্য বিগত কদিন ধরেই চলছিল জল্পনা-কল্পনা। তৃণমূলের নজরে যে এবার রয়েছে দিল্লি, তা নিশ্চিত করেছিলেন সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। তবে এবারের প্রার্থী তালিকা সামনে আসতে দেখা গেল, দেব পদত্যাগ করার পর ফের ভোটে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু প্রার্থী তালিকায় আর নাম নেই মিমি চক্রবর্তীর। বাদ গিয়েছেন নুসরত জাহানও। বরং সেই তালিকায় এসেছেন দিদি নম্বর ১ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
অর্থাৎ এবারে বাংলার দুই দিদি লড়বেন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে। হুগলি থেকে ভোটে দাঁড়ালেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিপরীতে এই আসনে রয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: মাত্র ৭ ঘণ্টা! নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের পড়ুয়াদের দিনলিপি অবাক করল সৌরভকে
বহুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল দলের অন্দরে ক্ষোভ বাড়ছে নুসরত জাহানকে নিয়ে। গত ১ মাসে যখন উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি, তখন একবারও সন্দেশখালিতে দেখা যায়নি নুসরত জাহানকে। বিগত পাঁচ বছরে গোটা বসিরহাটেই গিয়েছিলেন হাতেগোনা কয়েকবার। নিখিল জৈনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ, যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে নুসরতের সম্পর্ক, বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ না হয়েই সন্তানের জন্ম, এসব বিতর্কেই ঘিরে ছিলেন তিনি এই পাঁচ বছরে। কখনই বা কাজ করবেন মানুষের জন্য? নুসরতের জাগয়ায় বসিরহাট কেন্দ্র থেকে ভোটে দাঁড়ালেন ভূমিপুত্র হাজি নুরুল ইসলাম।
রাজনীতির মঞ্চে নুসরতের আসা অবার করেছিল অনেককেই। আসলে শুরু থেকেই তিনি বিতর্কে ঘেরা। পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে যার নাম জড়িয়েছে, তাঁকে কীভাবে দলে টানতে পারেন দিদি, সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল দলের অন্দরেই। তবে ওই যে কথায় বলে, গ্ল্যামারই সব এখন! সেই গ্ল্যামারের গুণেই ভোটে বিশাল মার্জিনে জিতে নেন নুসরত জাহান। কিন্তু ভোটে জিতে চলে যান বিয়ে করতে বিদেশে। পরে সেই বিয়েটাকেই আবার অবৈধ বলেন।
আরও পড়ুন: হুগলি থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়াতে পারেন রচনা! প্রতিপক্ষে লকেট
সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার সময়তেও নুসরত নিজের নাম জানিয়েছেন ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’। তারপর যখন ঘটা করে, বিয়েটাকেই অস্বীকার করে নেন, তখন অস্বস্তিতে পড়ে যায় দল। এই কদিন আগেও, তাঁর নাম জড়িয়েছে ফ্ল্যাট সংক্রান্ত কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে। ইডি-র মুখোমুখিও হয়েছেন দু দুবার।
আর প্রার্থী তালিকা আসতেই বোঝা গেল, আর এই টলি নায়িকার উপর ভরসা করতে পারছেন না দিদি। বরং, তাঁর কাছে ক্লিন ইমেজের, মহিলাদের একটু কষ্ট শুনেই কেঁদে ফেলা, দিদি নম্বর ১ শো-এর হোস্ট রচনাই বেশি আপন।
আরও পড়ুন: নাম নেই কোনও বাঙালির! কামিয়া থেকে রণবীর, কারা পেল ন্যাশনাল ক্রিয়টর অ্যাওয়ার্ড
যাদবপুর কেন্দ্রে আবার মিমি চক্রবর্তীর জায়গা নিলেন সায়নী ঘোষ। মিমি অবশ্য, নিজেই জানিয়েছিলেন তিনি আর দাঁড়াতে চান না ভোটে। এছাড়াও ঘাটাল থেকে লড়ছেন দেব, মেদিনীপুর থেকে জুন মালিয়া, পুরুলিয়া থেকে শতাব্দী।