কেকে-র অকাল মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক থামছে না। সোমবার ও মঙ্গলবার, পরপর দুদিন নজরুল মঞ্চে কেকে-র অনুষ্ঠান ছিল। প্রথমটি বিবেকানন্দ কলেজের, পরেরটি উল্টোডাঙার স্যার গুরুদাস মহাবিদ্যালয় আয়োজিত। মঙ্গলবারের অনুষ্ঠান শেষ করবার এক ঘন্টার মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন কেকে। সেই অনুষ্ঠানের অব্যবস্থা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে দর্শকাসনের তিনগুণ বেশি দর্শক ঢোকানোর অভিযোগ উঠেছে। এসি সঠিকভাবে কাজ করেনি, কেন সেখানে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা ছিল না- এমন অনেক প্রশ্ন রয়েছে। পাশাপাশি ছাড় পাচ্ছেন না কেকে-র সহযোগীরাও। অসুস্থবোধ করলেও কেন তাঁকে হাসপাতালে না নিয়ে গিয়ে, হোটেলে নিয়ে যাওয়া হল?
এর মাঝেই বিস্ফোরক মন্তব্য প্রয়াত অভিনেতা ওম পুরির প্রাক্তন স্ত্রী নন্দিতার। তিনি ফেসবুকে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘সিবিআই তদন্ত হওয়া দরকার, ততদিন পর্যন্ত বলিউড শিল্পীদের উচিত বাংলার মাটিতে পারফর্ম না করা’। কেকে-র মৃত্যুর জন্য বাংলাকে কাঠগড়ায় তুলে তিনি লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের লজ্জা হওয়া উচিত। কলকাতা মেরে ফেলল কেকে-কে আর মমতা সরকার এখন সেটাকে ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে গান স্যালুট দিয়ে’।
নন্দিতা আরও লেখেন, 'আড়াই হাজারের বসার জায়গায় সাত হাজার মানুষ কী ভাবে ঢুকল? বাতানুকূল যন্ত্র কাজ করছিল না, ঘামছিলেন কেকে। সে সব কেউ লক্ষ করল না? এক জন প্যারামেডিক অবধি ছিলেন না সেই হলে! নন্দিতার প্রশ্ন, শিল্পীদের বুঝি এ ভাবেই আপ্যায়ন করে কলকাতা? এ ভাবেই ‘যত্ন’ নেয়?
কেকে-র মৃত্যুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে নিউ মার্কেট থানার পুলিশ। তবে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে হার্ট অ্যাটাকের জেরেই মৃত্যু হয়েছে কেকে-র। বুধবার রবীন্দ্র সদনে কেকে-কে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা জানানো হয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফকে। এসএসকেএম হাসপাতালে কেকে-র মরদেহের ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে আসা হয় রবীন্দ্র সদনে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে গান স্যালুট দেওয়া হয় প্রয়াত শিল্পীকে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর স্ত্রী জ্যোতি এবং পুত্র নকুল। এদিন মমতার পাশাপাশি রবীন্দ্র সদনে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাসরা।