গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওম সাহানির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন মিমি দত্ত। মাত্র ৬ মাস হয়েছে বিয়ের। কেমন কাটছে নতুন দাম্পত্য? কে বেশি ঝগড়া করে? আদৌ কি গুছিয়ে সংসার করতে পারছে ওম আর মিমি-- এরকম হাজারও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করে নেটিজেনদের মাথায়। ইনস্টায় এই তারকা জুটি যে প্রায়ই নিজেদের দুষ্টু-মিষ্টি নানা ছবি শেয়ার করে থাকেন। আর তাতে ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন তাঁদের অনুরাগীরা।
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওম আর মিমি জানালেন তাঁদের দাম্পত্যের গোপন কথা। গাঙ্গুলিবাগানের ফ্ল্যাটে চুটিয়ে ঘরকন্না করছেন নবদম্পতি। কেরিয়ার আর সংসার দুটোর মধ্যে কীভাবে ব্যালেন্স করছেন, নিজের মুখেই জানালেন সে কথা। ‘বিয়ের পর মেয়েরা সংসারী হয়!’ আইবুড়ো অবস্থায় মায়ের মুখে এমন কথা হামেশাই শুনতেন মিমি। এখন সেকথার অর্থ বুঝতে পারছেন। যদিও সংসারের সমস্ত কাজে বউকে সাহায্য করেন ওম। মিমির বানানো বাঙালি খাবারও খেয়ে নেন চেটেপুটে। ওমের বাড়ির বিহারি খাবার লিট্টি-চোখা, ঠেকুয়া, পুরি বানানো শেখারও ইচ্ছে আছে মিমি-র।
ঝগড়া হয় কি এই লাভ বার্ডসদের মধ্যে? মিমি জানিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলেও তা পাশের ঘর থেকে শোনা যায় না! আর জলদি মিটেও যায় রাগ। বিয়ের পর ধৈর্য বেড়েছে দু'জনেরই। মিমির মতে, ওম একটু বেশিই ভালো মানুষ। আর ওম মনে করেন, তার স্ত্রী সব কিছু নিয়ে বড় বেশি চিন্তা করে! ফিটনেস ফ্রিক ওমের পাল্লায় পড়ে আজকাল ডায়েট ও শরীরচর্চাতেও কড়া নজর থাকছে মিমি-র। যদিও মাঝেমধ্যে মিমি-র মুখে কেক, মিষ্টি, নুডলস নিজের হাতেই তুলে দেন ওম।
করোনার কারণে হানিমুনটাই হয়নি। যদিও সম্পর্কের শুরুতে দু'জন মিলে দার্জিলিং গিয়েছিলেন। হানিমুনেও পাহাড়ি জায়গায় যাওয়ার ইচ্ছে আছে মিমি-র। পরিস্থিতি ছিক হলেই দু'জনে মিলে গোটা পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরে দেখতে চান।
দু'জনের প্রথম দেখা ২০১১ সালে, রূপসী বাংলা চ্যানেলের ‘আলোর বাসা’ ধারাবাহিকে। সেখানে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন তাঁরা। ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর দীর্ঘ দিন ধরে দু'জনের মধ্যে কোনও যোগাযোগ ছিল না। ২০১৭ সালে ফের দেখা হয় দু'জনের। সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে আইনি মতে বিয়ে করেন। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ে হয় সামাজিক রীতি মেনে অনুষ্ঠান করে।