২০০৮ সাল। তখনও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের বাহার ছিল না। ছিল না হোয়াটসঅ্যাপের টুংটাং। আর ট্রোল-মিম? সে সব যেন অন্য জগতের বস্তু! ঠিক তেমনই সময়ে 'থ্রি ইডিয়টস'-এর আবির্ভাব। ছাত্র জীবনের টানাপড়েন, বন্ধুত্ব, কলেজ প্রেম- এ সব কিছুই নতুন আঙ্গিকে ভেসে উঠেছিল পর্দায়। আমির খান, আর মাধবন, শরমন জোশীদের মতো পোড় খাওয়া অভিনেতাদের পাশাপাশি নজর করেছিলেন এক নবাগত। ওমি বৈদ্য। এক দশক পরেও দর্শকের কাছে তিনি চতুর রামালিঙ্গম।
চতুরের ভুলভাল হিন্দি হাসির রসদ জোগায় ছবিতে। কিন্তু জানেন কি, ওমি বাস্তবেও হিন্দি বলতে পারতেন না? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানিয়েছেন অভিনেতা স্বয়ং। মূলত: আমেরিকাতেই থাকেন ওমি। ঝরঝরে ইংরেজি বলতে পারেন। মরাঠিও নেহাত খারাপ বলেন না। কিন্তু হিন্দি? সে তো একেবারেই অজানা! ছবির জন্য তাই রোমানে লেখা হিন্দি সংলাপ এক প্রকার মুখস্থ করতে হত। ভুলভ্রান্তিও হত প্রচুর। কিন্তু পরিচালকের কড়া নির্দেশ, কোনও ভাবেই সেই ভুল সংশোধন করা চলবে না।
হাসতে হাসতে ওমি বলেন, 'আমি ভুল বললে সবাই হাসত। নিয়ম ছিল, আমার ভুল ধরিয়ে দেওয়া যাবে না। কেউ তা করলে তার চাকরি চলে যাবে।'
কী ভাবছেন? প্রবাসী অভিনেতাকে নাস্তানাবুদ করতে এই বন্দোবস্ত?
একেবারেই না। সব কিছুই আসলে ছবির স্বার্থে। গল্পে ওমির চরিত্রটি অর্থাৎ চতুর বিদেশ থেকে আসা এক ছাত্র। বাকি সকলের মতো সে তো গড়গড়িয়ে হিন্দি বলবে না! পর্দায় বাস্তবতার সেই ছোঁয়া রাখতেই অবলীলায় ভুলভাল হিন্দি বলে যাওয়ার স্বাধীনতা পেয়েছিলেন ওমি।