বছর পনেরো আগে 'হিমেশ জ্বর'-এ কাবু হয়েছিল বলিউড। একের পর এক ছবিতে হিমেশ রেশমিয়ার করা সুর ও গাওয়া গানে মাতোয়ারা ছিলেন দর্শক ও শ্রোতার দল। পরপর এতসব হিট দেওয়ার জন্য 'হিট মেকার' বলেও ডাকা শুরু হয় হিমেশকে। তবে এত কিছুর মধ্যেও এই সুরকার-গায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে বড্ড নাকি সুরে গান তিনি।
বহুবার এই অভিযোগ শোনার পর একবার নিজের স্বপক্ষে হিমেশ প্রকাশ্যে বলেছিলেন,'কিংবদন্তি বলিউড সুরকার তথা গায়ক রাহুল দেব বর্মনও নাকি সুরে গাইতেন। কই তখন তো তাঁর বিরুদ্ধে কখনও এই অভিযোগ কেউ তোলেননি!' হিমেশের এহেন মন্তব্য চাউর হতেই আরও এক কিংবদন্তি গায়িকা আশা ভোঁসলে হিমেশের নাম না করে কাটা কাটা ভাষায় মন্তব্য করেন,' যদি কেউ বলেন যে আর ডি বর্মন নাকি সুরে গান গাইতেন, তাহলে তাঁকে কষিয়ে থাপ্পড় মারা উচিৎ!' গায়িকার ইঙ্গিত যে কার দিকে ছিল, সেকথা বুঝতে আর করোও বাকি ছিল না।
এহেন পরিস্থিতিতে কোনওরকম কথা কিংবা বিতর্ক না বাড়িয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন হিমেশ। নিজের 'ভুল' স্বীকার করে তিনি জানিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গে আর ডি বর্মনের নাম তুলে মোটেই ঠিক কাজ করেননি তিনি। সঙ্গে বলেন,' আর ডি বর্মনকে অপমান করার কোনও অভিপ্রায় কখনওই আমার ছিল না।আর থাকবেই বা কী করে, যেখানে তাঁর গান শুনেই ছোট থেকে বড় হয়েছি আমি।'
এখানেই না থেমে তাঁর করা ওই 'বিতর্কিত' বক্তব্যের কারণ হিসেবে হিমেশ বলেন যে এক অনুষ্ঠান শেষে আমার গান গাওয়ার ভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেইসময়ে আমার গাওয়া প্রায় প্রতিটি গান ব্লকব্লাস্টার। তাই আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। সেসব শুনে মেজাজ হারিয়েছিলাম। তাই ওই প্রশ্নের জবাবেই আর ডি বর্মন, নুসরত ফতেহ আলি খান-এর মতো গায়কদের নাম আমি নিয়ে ফেলি। পরে বুঝেছিলাম কী ভীষণ ভুল করেছি! কোনওভাবেই সেই প্রসঙ্গে তাঁদের নাম তোলা উচিৎ হয়নি আমার।' এরপর 'আশাজী'-র কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে হিমেশ জানিয়েছিলেন অনিচ্ছাকৃতভাবে বর্ষীয়ান গায়িকাকে আঘাত করার জন্য যারপরনাই তিনি অনুতপ্ত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।