OMG-2-এর সাফল্যের মধ্যেই খারাপ খবর পেলেন পঙ্কজ ত্রিপাঠি। বাবাকে হারালেন অভিনেতা। জানা যাচ্ছে, পঙ্কজ ত্রিপাঠির বাবা পণ্ডিত বানারস তিওয়ার মারা গিয়েছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৮ বছর। বাবার মৃত্যুর খবর পাওয়া মাত্রই তিনি উত্তরাখণ্ড ছেড়ে বিহারে নিজের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রসঙ্গত, উত্তরাখণ্ডে তিনি ছবির শ্যুটিং করছিলেন।
পঙ্কজ তিওয়ারির গ্রামের বাড়ি হল বিহারের বেলসান্দে গ্রামে। সেখানেই থাকতেন তাঁর ৯৮ বছরের বৃদ্ধা বাবা বানারস তিওয়ারি। অভিনেতার মাও সেখানেই থাকেন। কাজের সুবাদে পঙ্কজ ত্রিপাঠি তাঁর স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে মুম্বইতে থাকেন। পঙ্কজ তিওয়ারের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে অভিনেতার বাবার বয়স প্রায় ১০০ ছুঁই ছুঁই হলেও তিনি সুস্থই ছিলেন। তাঁর কোনও বড় ব্যাধি ছিল না।
আরও পড়ুন-‘জাদ-এর স্পর্শে অস্বস্তি বোধ করতাম’, Bigg Boss OTT শেষে মুখ খুললেন জিয়া শঙ্কর
আরও পড়ুন-বউ চটেছে, আমি নাকি বাড়িই থাকি না, এবার তাই ছুটি চাই: পঙ্কজ ত্রিপাঠি

বাবা-মায়ের সঙ্গে পঙ্কজ ত্রিপাঠি

গ্রামের বাড়িতে পঙ্কজ ত্রিপাঠি
এর আগে হিন্দুস্তান টাইমসকে ২০১৮তে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবাকে নিয়ে পঙ্কজ ত্রিপাঠি বলেছিলেন, 'আমার বাবা চেয়েছিলেন আমি ডাক্তার হই। আমি যে জায়গা থেকে উঠে এসেছি —সেটা উত্তর বিহারের গোপালগঞ্জের একটি গ্রাম। সেখানে মানুষ মাত্র দুটি পেশার কথাই জানেন, এক ইঞ্জিনিয়ার আরেকটা ডাক্তার। আমি কৃষক পরিবারের ছেলে। আমার গ্রাম ভীষণই প্রত্যন্ত এলাকায়। সেখানে এখনও কোনও সুনির্মিত রাস্তা নেই।
পঙ্কজ ত্রিপাঠির কথায়, পরিবার আমার অভিনেতা হওয়ার স্বপ্নতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় নি। তাঁদের নিজস্ব কোনো অপূর্ণ স্বপ্ন ছিল না, যে তাঁরা সেটা আমার উপর দিয়ে পূরণ করতে চাইতেন। তাঁদের একটাই চিন্তা ছিল আমি রোজি-রোটি জোগড় করতে পারব কিনা। আমি ওঁদের বলেছিলাম, যে আমি যদি দিল্লিতে যাই (পঙ্কজ ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামার প্রাক্তন ছাত্র), ওখানে আমি একটা সরকারি চাকরিও পেতে পারি। ওঁরা মধ্যবিত্ত মানুষ তো সরকারি চাকরি শুনে ভাবলেন, ঠিকই আছে। আমার বাবা তাই মত দিয়েছিলেন।'
সম্প্রতি আরও এক সাক্ষাৎকারে পঙ্কজ ত্রিপাঠি বলেন,যে তাঁর বাবা তাঁর অভিনয়, কাজ নিয়ে বিশেষ কিছুই জানেন না। পঙ্কজের কথায়, বাবা আমাকে নিয়ে বিশেষ গর্বিতও বোধ করেন না। কারই উনি নিজেও জানেন না যে আমি সিনেমায় কী করি! আজ পর্যন্ত উনি দেখেননি সিনেমা হল ভিতর থেকে ঠিক কেমন দেখতে। যদি কেউ ওঁকে কম্পিউটারে বা টেলিভিশনে আমার কাজ দেখায়, তাহলে দেখেন। সম্প্রতি আমার বাড়িতে কম্পিউটার ইনস্টল করা হয়েছে।'