চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ উৎসব হিসেবে ধরা হয় কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এবছর ১৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চলবে কান উৎসব। বহু প্রতীক্ষিত এই কান চলচ্চিত্র উৎসবরের মনোনয়নের তালিকা ঘোষণা হয়েছে বৃহস্পতিবারে (ভারতের সময়)৷ আর তাতে নাম আছে ভারতীয় পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া পরিচালিত ‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ ছবিটির।
দীর্ঘ ৩০ বছর পর কোনও ভারতীয় ছবির পেল এই সুযোগ। পামে ডি'অর পুরস্কারের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এই ভারতীয় সিনেমাটি। এর আগে ১৯৯৪ সালে, সাজি নীলাকান্ত করুণ-এর ‘স্বহম’ এই বিভাগে জায়গা করে নেওয়া শেষ ভারতীয় চলচ্চিত্র।
আরও পড়ুন: ইদে নুসরত যেন নিষ্কলঙ্ক চাঁদ, বউকে ম্যাচিং করে সাজ যশের, ঈশানকে দেখতে উৎসুক নেটপাড়া
‘অল উই ইমাজিন অ্যাস লাইট’ ছবিটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করবে ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলার ‘মেগালোপোলিস’, শন বেকারের ‘অ্যানোরা’, ইয়ারগোস ল্যানথিমোসের ‘কাইন্ডস অফ কাইন্ডনেস’, পল শ্রেডারের ‘ওহ কানাডা’, ম্যাগনাস ভন হর্নের ‘দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল’ এবং পাওলো সোরেন্টিনোর ‘পার্থেনোপ’। জুরির সভাপতিত্ব করবেন ‘লেডিবার্ড অ্যান্ড বারবি’র পরিচালক গ্রেটা গারউইগ।
ব্রিটিশ-ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা সন্ধ্যা সুরির সিনেমা 'সন্তোষ' উৎসবের আন সার্টেন রিগার্ড বিভাগের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। ১৪-মে কান উৎসবের উদ্বোধন হবে ফ্রেঞ্চ পরিচালক কৌনটা ডুপিও (Quentin Dupieux)-র দ্য সেকেন্ড অ্যাক্ট দিয়ে।
আরও পড়ুন: ইদে সলমনের বাড়ির বাইরে উত্তাল জনতা, চলল লাঠি, বাবা সেলিমকে নিয়ে বারান্দায় দাবাং
কাপাডিয়া অবশ্য কানে নতুন নন। তার ডকুমেন্টারি ‘এ নাইট অফ নোয়িং নাথিং’ কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ২০২১ সংস্করণে সেরা তথ্যচিত্রের জন্য গোল্ডেন আই জিতেছিল। ডিরেক্টরস ফোর্টনাইট বিভাগের অধীনে প্রিমিয়ার হওয়া ছবিটি, একটি ছাত্রের তার প্রেমিকের কাছে লেখা চিঠির মাধ্যমে ক্যাম্পাসের অস্থিরতাকে তুলে ধরে। কাপাডিয়ার অন্যান্য প্রশংসিত কাজের মধ্যে রয়েছে 'আফটারনুন ক্লাউডস' (২০১৭), যা কানে স্ক্রিনিংয়ের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল এবং 'এন্ড হোয়াট ইজ দ্য সামার সেয়িং?' (২০১৮)।
আরও পড়ুন: সাদা কুর্তা-পাজামা, মাথায় বাঁধা ঝুঁটি, ইদের বিকেলে মন্নতের বারান্দায় শাহরুখ
ইন্দো-ফরাসি প্রযোজনা ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ লাইট’ একজন নার্স প্রভার গল্প অনুসরণ করে তৈরি। যিনি তার দীর্ঘ বিচ্ছিন্ন স্বামীর কাছ থেকে একটি অপ্রত্যাশিত উপহার পান। এটি তার জীবনে ব্যাঘাত ঘটায়। তার রুমমেট অনু, তার প্রেমিকের সঙ্গে একা থাকার জন্য বড় শহরে একটি ব্যক্তিগত জায়গা খুঁজে বের করার বৃথা চেষ্টা করে। একদিন, দুই নার্স একটি সমুদ্র ধারের শহরে একটি রোড ট্রিপে যায়। এবং যেখানে রহস্যময় বন তাদের স্বপ্ন প্রকাশের জায়গা হয়ে ওঠে।