মাদককাণ্ডে গ্রেফতার বাংলাদেশি অভিনেত্রী পরীমনির জামিনের আবেদন দুদিন আগেই না-মঞ্জুর করেছে আদালত। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পরীমনির রিমান্ড এবং জামিনের শুনানি হয়। নতুনভাবে পরীমনির আইনজীবীরা আবেদন জানানোর পর এদিন আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনে। আদালত এদিন সিআইডির পাঁচ দিনের রিমান্ডের বদলে পরীমনির একদিনের সিআইডি রিমান্ড মঞ্জুর করে জামিনের আর্জি খারিজ করে দেন।
অন্যদিকে ফের শনিবার, মাদক মামলায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত (সিএমএম)-এ শুনানি ছিল পরীমনির। তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয় আদালতের তরফে। একটি প্রিজন ভ্যানে করে বেলা ৩টা ১৪ মিনিটে তাঁকে আদালতের হাজতখানা থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে আজ বেলা ১১টা ৫০ মিনিট নাগাদ আদালতে হাজির করা হয়।
বিচারক এজলাসকক্ষ ত্যাগ করার পর পরীমনির কাছে যান তাঁর আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত। তখন তাঁকে দেখে পরীমনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘কেন আমার জামিন আবেদন করলেন না। আমি তো পাগল হয়ে যাব। আপনারা জামিন চান, আপনারা আমার সঙ্গে কী কথা বলবেন? আপনারা বুঝতেছেন, আমার কী কষ্ট হচ্ছে?’
শুনানি শেষে পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বাংলাদেশের সাংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘পরীমনিকে দফায় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আমরা বারবার বলছি, পরীমনি অসুস্থ। শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত পরীমনি আমাকে বলেছেন, তিনি পাগল হয়ে যাবেন।’
পরীমনির আইনজীবীরা আদালতের কাছে আবেদন করেন, আইনি পরামর্শের জন্য তাঁরা পরীমনির সঙ্গে কথা বলতে চান। এটি তাঁর আইনি অধিকার। আজ তাঁরা জামিন চেয়ে আবেদন করবেন না। অবশ্য পরীমনির সঙ্গে কথা বলার অনুমতি চেয়ে করা আবেদনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত চলছে। আসামি জামিনও পাননি। এমন অবস্থায় পরীমনির সঙ্গে আইনজীবীদের কথা বলার অনুমতি না দেওয়ার আবেদন করছি।’ পরে আদালত পরীমনির সঙ্গে কথা বলার আবেদন নাকচ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ অগস্ট ঢাকার বনানীর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় পরীমনিকে। তাঁর বাড়ি থেকে মদ ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব়্যাব। মাদক আইনের আওতায় গ্রেফতার করা হয়েছে পরীমনিকে।