পরীমনির দাম্পত্য কলহ যেন থামার নাম নেই! ছেলে রাজ্যর কথা ভেবে অভিমান ভুলে ফের এক হয়েছেন পরীমনি ও রাজ। সেই ছবি দু-দিন আগেই ধরা পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। কিন্তু কয়েকঘন্টার মধ্যেই বদলে গেল ছবি! দূরত্ব মোটেই ঘোচেনি। একদিন পার হতেই জানা গেল একসঙ্গে থাকছেন না এই তারকা দম্পতি। শুধু তাই নয়, অসুস্থ পরীমনিকে একা রেখে চলে গিয়েছেন রাজ।
শুক্রবার থেকে জ্বরে কাবু পরীমনি। ধুম জ্বর নিয়েই রাতে ঢাকার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন অভিনেত্রী। শনিবার ভোররাতে হাসপাতাল থেকে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুকের দেওয়ালে একটি ছবি পোস্ট করেন পরীমনি। সেখানে দেখা গেল পরীমনির হাতে চ্যানেল করা। হাসপাতালের বিছানাতেই বান্ধবী তথা অভিনেত্রী তমা মির্জার হাত ধরে রয়েছেন পরীমনি। অসুস্থ তিনিও।
পরীমনির অসুস্থতার খবর ছড়াতেই খোঁজ শুরু হয় শরীফুল রাজের। শুক্রবার রাতেই রাজের রক্তাক্ত একটি ছবি আসে। ছবিতে রাজের মাথায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। তিনি হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে আছেন। কিন্তু কীভাবে চোট পেলেন পরীমনির স্বামী? তার উত্তর মেলেনি।
বাংলাদেশের গণমাধ্যম সূত্রে খবর, ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন রাজ, তাঁর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। এখন হাসপাতালে নেই রাজ। কিন্তু কীভাবে চোট পেয়েছেন তিনি, সেই নিয়ে সদুত্তোর মেলেনি। রাজের সম্পর্কে পরীমনির কাছে জানতে চাওয়া হলে নায়িকার সটান জবাব-'রাজ কোথায় আমি জানি না। আমি হাসপাতালে। আমার অনেক জ্বর। কথা বলতে পারছি না।'
বুধবার রাতেই গান বাংলার অফিসে একসঙ্গে ছেলে রাজ্যর প্রথম জন্মদিনের কেক কাটেন রাজ-পরী। সপ্তাহখানেক আগে ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালন করেছিলেন পরীমনি, যদিও সেই পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন না রাজ। গান বাংলার দুই কর্ণধার কৌশিক হোসেন তাপস ও ফারজানা মুন্নীর সঙ্গে রাজ্যর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে পাশাপাশি বসে থাকা রাজ-পরীর একাধিক ছবি ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি ছবিতে পরীমনিকে জড়িয়ে ধরতেও দেখা যায় রাজকে। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, তবে কি ফের এক হলেন রাজ-পরীমনি? দুজনের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, মোটেই মিল হয়নি রাজ ও পরীমনির। ফেসবুকের ভাইরাল ছবি নিছকই লোক দেখানো! তবে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে রাজ বলেছিলেন, 'পরীকে আমি বিয়ে করেছি, আমার কাছে বউ-এর সম্পর্কটাই আগে। পরীকে আমি আমাদের সন্তান রাজ্যকে উপহার দিয়েছি, এটা আমার কাছে গর্বের। ছেলের জন্যই জীবনটা ঠিক করতে হবে আমার, ও ড় হচ্ছে। আর ৫-৬ বছর পর ও বাইরে চলে ফিরে বেড়াবে, কথা বলবে। ওকে সুন্দর জীবন উপহার দিতে চাই।’