বলিউড জয় করে হলিউডেও নাম করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সম্প্রতি তাঁকে বলতে শোনা যায়, নিজের হাইস্কুলের সময়কার ছবি পুড়িয়ে ফেলেছেন তিনি। কারণ সেগুলিতে নিজেকে দেখে বিব্রত বোধ করতেন। যদিও এখনও সে জন্য ‘অনুশোচনাই হয়’ তাঁর।
দ্য জো রিপোর্টকে বলতে শোনা যায়, ২০০০-এর দশকের গোড়ার দিকে ট্রেন্ড এসেছিল সবকিছুই বেশিবেশি। আর প্রিয়াঙ্কাও সেই পথেই হেঁটেছিলেন। ‘এটা ২০০০-এর গোড়ার দিকের কথা। আমিও প্রত্যেকের মতো এতে মেতেছিলাম। উইঙ্গড আইলাইনার, হাইলাইটার, চেইন ড্রেস, নীচু করে পরা জিন্স, যার থেকে বেরিয়ে আছে অন্তর্বাস। হয়তো সেই কারণেই আমি হাইস্কুলের অনেক ছবি পুড়িয়ে ফেলি। যার জন্য এখন আমি অনুতপ্ত। কারণ আমি একটা বই লিখছিলাম আর ওটার জন্য আমার ছবির দরকার ছিল। কিন্তু সেই ছবিগুলির মধ্যে বেশিরভাগই আমি পুড়িয়ে ফেলেছি। তখন আমার মনে হচ্ছিল, এসবের কী দরকার ছিল!’
প্রিয়াঙ্কা আমেরিকা থেকেই তাঁর হাইস্কুলের পড়াশোনা করেন। সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিনেত্রী জানান, স্কুলে প্রথমদিকে কেউই তাঁর নাম ঠিক করে উচ্চারণ করতে পারত না। সবাই তাকিয়ে থাকত। তাই তিনি সবাইকে বলেন তাঁকে ‘প্রি’ বলে ডাকতে। এরপর একদিন দশম শ্রেণিতে থাকতে বুলি করা হয় প্রিয়াঙ্কাকে। বেশ ঘাবড়ে যান তিনি, অস্বস্তির চোটে সোজা মা-কে ফোন করে জানান, তিনি ভারতেই পড়াশোনা করবেন। এরপর মধু চোপড়া নিজে এসে পরদিনই মেয়েকে ভারতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
এর আগে প্রিয়াঙ্কা নিজে জানিয়েছিলেন, মার্কিন স্কুলে থাকাকালীন প্রথমদিকে ক্যান্টিনে যাওয়ার রাস্তাও জানা ছিল না তাঁর। টুডে শোতে অভিনেত্রী প্রকাশ করেন, ‘আমি আমার দুপুরের খাবার বাথরুমে একটা স্টলের মধ্যে ঢুকে খেতাম, এতটাই নার্ভাস ছিলাম আমি। আমি জানতাম না কীভাবে ক্যাফেটেরিয়াতে গিয়ে খাবার নিতে হয়। আমি একটা ভেন্ডিং মেশিন থেকে Dortios নিতাম, বাথরুমে গিয়ে জলদি জলদি খেয়ে নিতাম। তারপর ক্লাসে চলে যেতাম। যাতে আমাকে অন্য বাচ্চাদের মুখোমুখিও হতে না হয়।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)