রাম মন্দির নিয়ে সাজোসাজো রব গোটা দেশজুড়ে। উৎসবের সাজে সেজে উঠছে গোটা অযোধ্যা। আজ রাম-নগরীতে অভিনেতা, ক্রিকেটার, রাজনীতিবিদরা। তবে তারই মাঝে, অনেকেই প্রকাশ্যে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন রাম মন্দির নিয়ে। এমনকী সোমবার রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার দিনেও চলছে বিরোধিতা। তাতে কি যোগ হল টলিউডের অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাম মন্দিরের স্থানেই দাঁড়িয়ে ছিল বাবরি মসজিদ। অনেকেরই দাবি, ১৫২৮ সালে ১৫২৮ একটি মন্দিরের উপর তৈরি করা হয়েছিল এই মসজিদখানা। স্বভাবতই দাবি উঠছে, প্রায় ৫০০ বছর পর রামলালা 'ঘরে ফিরলেন।'
বলা হয়, মীর বাকি তৈরি করেছিলেন বাবরি মসজিদ। এরপর ১৮৮৫ সালে মহন্ত রঘুবীর দাস যান ফৈজবাদ আদালতে। তিনিই প্রথম দাবি করেন, যে স্থানে বাবরি মসজিদ তৈরি করা হয়েছে, সেটি আদতে রাম জন্মভূমি। তবে আদালত সে মামলা খারিজ করে দেয়। এর কিছু বছর পর সে স্থানে রামের একটি মূর্তিও প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই জমি নিয়ে নানা পক্ষ একাধিকবার গিয়েছেন আদালতে। তবে, ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের কাঠামো ভেঙে ফেলে কয়েক হাজার মানুষ। আর তা ভাঙার জন্য উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি-র লকৃষ্ণ আডবানি, মুরলি মনোহর যোশীদের বিরুদ্ধে। এরপরও ঘটে গিয়েছে একাধিক ঘটনা।
এরপর ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে একটি ট্রাস্ট গঠন করে বিতর্কিত জমিতে রামমন্দির তৈরি করা হবে। পাশাপাশি মসজিদ তৈরির জন্য অযোধ্যাতেই ৫ একর জমি দেওয়ারও নির্দেশ দেয় আদালত। ২০২০ সালের ৫ অগস্ট রামমন্দিরের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি হল রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা।
সোমবার রাহুল ফেসবুকে লিখলেন, ‘আমরা হেরে গেলাম’। কারও বুঝতে অসুবিধে হয়নি রাম মন্দির নিয়েই তোপ দাগলেন তিনি। একাধিক নেট-নাগরিক রাহুলের হয়েই গলা ফাটালেন কমেন্ট সেকশনে। একজনের মন্তব্য, ‘ক্ষমতা দখলের ইস্তেহার’। আপরজনের মন্তব্য, ‘আশাহত হবার কোনো কারণ নেই। ইতিহাস তাই বলে।’
প্রসঙ্গত, সোমবার বেলা ১২ টা ৫ মিনিটে রামমন্দিরের প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর হাতে ছিল সাজানো ডালা। গত ১১ দিন ধরে পবিত্র সাত্ত্বিক ভোজন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মূল যজমান হিসেবে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা করেন তিনি। এদিন রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় গর্ভগৃহের মধ্যে মোদী ছাড়াও ছিলেন ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। ,